Muhurat Trading Closing Bell

‘মুহূর্ত’ ট্রেডিংয়ে ছুটল শেয়ার বাজার, ৩৩৫ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স, নিফটি ২৪ হাজার পার

মুহূর্ত ট্রেডিংয়ে শেয়ার বাজারে দেখা গেল রকেট গতি। ০.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে বন্ধ হয়েছে সেনসেক্স এবং নিফটি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৪ ২০:০০
Muhurat trading 2024 Sensex and Nifty up 335 and 99 points respectively

—প্রতীকী ছবি।

প্রত্যাশা মতোই ‘মুহূর্ত’ ট্রেডিংয়ের দিনে চড়ল শেয়ার বাজার। ফলে দীপাবলিতে মোটা টাকা আয় করলেন লগ্নিকারীরা। শুক্রবার, ১ নভেম্বর সমস্ত ক্যাটেগরির স্টককে সবুজ জ়োনে থাকতে দেখা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, ৩৩৫.০৫ এবং ৯৯ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে সেনসেক্স এবং নিফটি।

Advertisement

এ দিন এক ঘণ্টার লেনদেন শেষে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের (বিএসই) শেয়ার সূচক ৭৯,৭২৪.১২ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে যায়। অর্থাৎ, ০.৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে সেনসেক্স। অন্য দিকে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এনএসই) শেয়ার সূচক থেমেছে ২৪,৩০৪.৩০ পয়েন্টে। অর্থাৎ, নিফটিতে ০.৪১ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে।

‘মুহূর্ত’ ট্রেডিংয়ে মোট ২ হাজার ৯০৪টি স্টকের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। কমেছে ৫৪০টি শেয়ারের দাম। আর অপরিবর্তিত থেকেছে ৭২টি স্টক। এ দিন গাড়ি নির্মাণ সংস্থাগুলির স্টক এক শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। বিএসইতে মাঝারি এবং ছোট পুঁজির সংস্থাগুলির শেয়ারের দাম বেড়েছে যথাক্রমে ০.৭ এবং এক শতাংশ।

এ ছাড়া ব্যাঙ্ক নিফটি বৃদ্ধি পেয়েছে ১৯৭ পয়েন্ট। এনএসইতে ৩৩৮ পয়েন্ট উঠেছে মাঝারি পুঁজির সূচক। এম অ্যান্ড এম, ওএনজিসি, আদানি পোর্টস, ভারত ইলেকট্রনিক্স এবং টাটা মোটরসের স্টকে লগ্নিকারীরা সর্বাধিক লাভবান হয়েছেন। আর ডক্টরস্ রেড্ডিস্ ল্যাবস্, এইচসিএল টেক, ব্রিটানিয়া, টেক মাহিন্দ্রা এবং আদানি এন্টারপ্রাইজ়ের বিনিয়োগকারীরা সবচেয়ে বেশি লোকসানের মুখ দেখেছেন।

প্রতি বছর দীপাবলির দিনে লগ্নিকারীদের বিশেষ ট্রেডিংয়ের সুযোগ দেয় বম্বে এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ। একেই বলে মুহূর্ত ট্রেডিং। যাতে এক ঘণ্টার জন্য স্টক বেচাকেনা করা যায়। আর এ দিন থেকে শুরু হয় আর্থিক ক্যালেন্ডার ‘সম্বৎ’। এ বার ১ নভেম্বর থেকে শুরু হল আর্থিক ক্যালেন্ডার সম্বৎ ২০৮১। যার শুরুটা দুর্দান্ত ভাবে করল বম্বে এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ।

(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকিসাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)

আরও পড়ুন
Advertisement