Loan Rejection Reasons

দুর্দান্ত ক্রেডিট স্কোর সত্ত্বেও মিলছে না ঋণ, নেপথ্যে রয়েছে কোন কোন কারণ?

ক্রেডিট স্কোর ভাল হলেই যে ব্যাঙ্ক বা এনবিএফসি ঋণ দিয়ে দেবে এমনটা নয়। একাধিক কারণে বাতিল হতে পারে ঋণের আবেদন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৩১
Loan application may reject despite good credit score know the reasons

—প্রতীকী ছবি।

নজরকাড়া ক্রেডিট স্কোর। কিন্তু তা সত্ত্বেও ক্রেডিট কার্ডে মিলছে না ঋণ। ব্যাঙ্ক বা নন ব্যাঙ্কিং ফিন্যান্সশিয়াল কর্পোরেশন (এনবিএফসি) পত্রপাঠ বাতিল করতে পারে পার্সোনাল লোন বা ব্যক্তিগত ঋণের আবেদন। যার নেপথ্যে একাধিক কারণের কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

কিছু ব্যাঙ্ক বা এনবিএফসি দেশের নির্দিষ্ট কিছু শহরে ব্যবসা করে থাকে। তারা কেবলমাত্র ওই শহরের বাসিন্দাদেরই ঋণ দিয়ে থাকে। আবেদনকারী অন্য এলাকার বাসিন্দা হলে ভাল ক্রেডিট স্কোর হওয়া সত্ত্বেও ঋণ পাবেন না তিনি। উদাহরণ হিসেবে ‘এইচএসবিসি লাইভ প্লাস’ ক্রেডিট কার্ডের কথা বলা যেতে পারে। এর মাধ্যমে ঋণ পেতে হলে আবেদনকারীকে অবশ্যই চেন্নাই, গুরুগ্রাম, দিল্লি, দিল্লি এনসিআর, পুনে, নয়ডা, হায়দরাবাদ, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, কোচি, কোয়েম্বাত্তুর, জয়পুর, চণ্ডীগড়, আমদাবাদ বা কলকাতার বাসিন্দা হতে হবে।

দ্বিতীয়ত, ব্যাঙ্ক বা এনবিএফসিগুলি ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আবেদনকারীর আয়ের মানদণ্ডও বিচার করে। আর তাই বেতনভোগী এবং স্বনিযুক্তদের আলাদা ক্যাটেগরিতে রাখা হয়। শুধু তা-ই নয়, একই ব্যাঙ্ক বিভিন্ন ক্যাটেগরির ক্রেডিট কার্ড বিলি করে থাকে। সেগুলির প্রতিটির ক্রেডিট লিমিটও আলাদা।

উদাহরণ হিসেবে এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের ‘ফ্রিডম’ ক্রেডিট কার্ডের কথা বলা যেতে পারে। ১২ হাজার টাকার বেশি মাসিক আয় থাকলে তবেই এই কার্ডটি গ্রাহককে দিয়ে থাকে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক। স্বনিযুক্তদের ক্ষেত্রে ফ্রিডম ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার শর্ত হল, আয়কর রিটার্নের পরিমাণ বার্ষিক ছ’লক্ষ টাকার বেশি হতে হবে।

তৃতীয়ত, বার বার চাকরি বদল করলে ক্রেডিট স্কোর ভাল হওয়া সত্ত্বেও ঋণ দিতে অস্বীকার করতে পারে ব্যাঙ্ক বা এনবিএফসি। কারণ সাধারণ ভাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে স্থিতিশীল রোজগেরেদের পছন্দ করতে দেখা গিয়েছে। এতে ঋণের টাকা ফেরত না পাওয়ার ঝুঁকি খুব কম থাকে বলে দাবি করেছে অধিকাংশ ব্যাঙ্ক।

চতুর্থত, ক্রেডিট স্কোরের পাশাপাশি ঋণ থেকে আয়ের অনুপাত খতিয়ে দেখেন ব্যাঙ্ক ও এনবিএফসি কর্তৃপক্ষ। এটি ৩৫ শতাংশ বা তার কম হলে ঋণ পাওয়া সহজ হয়। অনুপাত তার বেশি হলে ক্রেডিট স্কোর ভাল হলেও ঋণের আবেদন বাতিল হতে পারে। সবশেষে অবশ্যই আসে নথির প্রসঙ্গ। ক্রেডিট কার্ড বা ব্যক্তিগত ঋণ পেতে হলে কেওয়াইসি নথি জমা করতে হয়। সেটি না থাকলে ওই কার্ড বা ঋণ পাওয়া একরকম অসম্ভব।

উল্লেখ্য, আবেদনকারীর ঋণ নেওয়ার ইতিহাস লুকিয়ে থাকে ক্রেডিট স্কোরের মধ্যে। এটি ৭৫০ বা তার বেশি হলে খুব ভাল বলে ধরা হয়। ক্রেডিট স্কোর বেশি হলে কম সুদে ঋণ পাওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন আবেদনকারী।

আরও পড়ুন
Advertisement