GST Rules on Health Insurance

স্বাস্থ্য ও জীবন বিমায় উঠে যাবে জিএসটি! চিঠি লিখে প্রথম দাবি জানিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা

লোকসভা ভোটের পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বিমায় জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিতে চিঠি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। খবর, সেই চিঠি দেওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই তা কার্যকর করার পথে কেন্দ্র।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:৫৯
GST on health and life insurance premiums may be cheaper say sources

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

জীবন ও স্বাস্থ্য ও বিমায় পণ্য ও পরিষেবা কর (গুডস্ অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স বা জিএসটি) তুলে দেওয়ার পথে আরও একধাপ এগোল কেন্দ্র। সূত্রের খবর, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিগোষ্ঠী বা গ্রুপ অফ মিনিস্টার্স (জিওএম)। যা তৈরি করেছেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

Advertisement

উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিমায় জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিতে চিঠি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। সেই চিঠি দেওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই তা কার্যকর করার পথে কেন্দ্রীয় সরকার। এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীই বিমায় জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিতে চিঠি দিয়েছিলেন কেন্দ্রকে। এমনটাই দাবি তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বিষয়ে অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি। চিঠিটির ছবিও প্রকাশ করেন।

সূত্রের খবর, মন্ত্রিগোষ্ঠীর সদস্যেরা প্রবীণ নাগরিক ছাড়া অন্যান্য গ্রাহকের ক্ষেত্রে ৫ লক্ষ টাকা কভারেজের স্বাস্থ্য বিমায় জিএসটি মকুবের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে ৫ লক্ষ টাকার বেশি কভারেজের স্বাস্থ্য বিমায় ১৮ শতাংশ জিএসটি কার্যকর হবে।

অন্য দিকে বর্তমানে জীবন বিমার টার্ম পলিসি ও পারিবারিক ফ্লোটার পলিসির ক্ষেত্রে ১৮ শতাংশ জিএসটি রয়েছে। এটাও কমিয়ে আনা বা মকুব করার ব্যাপার বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এই মন্ত্রিগোষ্ঠীর নেতৃত্বে রয়েছে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধরি। তিনি বলেন, ‘‘জিওএমের প্রতিটা সদস্য আমজনতাকে স্বস্তি দিতে চায়। আমরা প্রবীণ নাগরিকদের উপর বেশি করে নজর রাখছি। চূড়ান্ত রিপোর্ট জিএসটি কাউন্সিলের কাছে জমা করা হবে। তার পর কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নেবে।’’

জীবন ও স্বাস্থ্য বিমায় জিএসটি কমানোর দাবি দীর্ঘ দিন ধরেই উঠছে। এই পরিস্থিতিতে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ১৩ সদস্যের জিওএম তৈরি করা হয়। সূত্রের খবর, অক্টোবরের শেষে রিপোর্ট জমা করবে এই মন্ত্রিগোষ্ঠী।

আরও পড়ুন
Advertisement