ভারতীয় সেনা। ছবি: সংগৃহীত।
যুদ্ধ হোক বা সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযান। জীবন বাজি রেখে অনেক সময়েই গুরুতর আহত হন সেনা অফিসার বা জওয়ানেরা। এতে হাত বা পা হারানোর ঘটনা ভুরি ভুরি। এই সেনা কর্মীদের পেনশনের নিয়মে বড় বদল করেছে কেন্দ্র। সংসদে দাঁড়িয়ে সে কথা জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় শেঠ।
কর্তব্যরত অবস্থায় আহত এই সেনাকর্মীদের পেনশনের ব্যাপারে চলতি শীতকালীন অধিবেশনে প্রশ্ন করেন রাজস্থানের সাংসদ হনুমান বেনিওয়াল। জবাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় শেঠ বলেন, ‘‘এই ধরনের সেনাকর্মীরা ডিফেন্স ডিসএবিলিটি পেনশনের আওতাভুক্ত। কী ভাবে তাঁরা এই পেনশন পাবেন সেই সংক্রান্ত নিয়মাবলি প্রকাশ করা হয়েছে। মূলত দু’টি নিয়মে তাঁদের পেনশন দেওয়া হচ্ছে। সেগুলি হল, ক্যাজ়ুয়াল্টি পেনশনারি অ্যাওয়ার্ডস টু দ্য আমর্ড ফোর্সেস পার্সোনেল-২০২৩ এবং গাইড মেডিক্যাল অফিসার্স-২০২৩।’’
এই ধরনের সেনাকর্মীদের পেনশনের ব্যাপারটি কেন্দ্রীয় কর্মীবর্গ মন্ত্রক দেখবে বলে স্পষ্ট করেছেন প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী। মেডিক্যাল বোর্ডের সুপারিশ থাকলে তবেই মিলবে এই পেনশন। সেনার নিয়ম অনুযায়ী, শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ না হলে, কোনও কর্মীকে বাহিনীতে রাখা হয় না। এই ধরনের ক্ষেত্রে মেডিক্যাল বোর্ড সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বিশেষ ভাবে সক্ষম হিসাবে ঘোষণা করে থাকে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ডিফেন্স ডিসএবিলিটি পেনশনের ক্ষেত্রে অন্তত তিন সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের সুপারিশ লাগবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়টি ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি সার্ভিসেস (আর্মি) পদের অফিসার। তিনি সবুজ সঙ্কেত দিতে উক্ত পেনশন পাবেন ওই সেনাকর্মী। জুনিয়র কমিশনড অফিসার এবং অন্যান্য র্যাঙ্কের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
‘‘এই সেনাকর্মীরা নির্দিষ্ট একটি দিন পর্যন্ত গ্র্যাচুইটি পাবেন। যুদ্ধে আহত হওয়ার পেনশন (ওয়ার ইনজ়ুরি পেনশন), শারীরিক প্রতিবন্ধী পেনশন এবং ইনভ্যালিড পেনশন বা ইনভ্যালিড গ্র্যাচুইটি তাঁদের দেওয়া হচ্ছে। কোন কর্মী কোন নিয়মের আওতায় কতটা টাকা পাবেন, তার চূড়ান্ত মূল্যায়ন করবে কর্মীবর্গ মন্ত্রক।’’ সংসদে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় শেঠ।