—প্রতীকী ছবি।
শীতের আমেজে হু হু করে কমছে চায়ের দাম। তাপমাত্রার পারদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নামছে দর। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে আট শতাংশ সস্তা হয়েছে চা-পাতার দাম। শেষ এক মাসে চায়ের দাম ১৫ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছে একাধিক বণিকসভা।
ডিসেম্বরে বছর শেষের মুখে হঠাৎ করে চায়ের দাম কমার নেপথ্যে একাধিক কারণের কথা বলেছেন বাজার বিশেষজ্ঞেরা। তাঁদের যুক্তি, পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতির জেরে উল্লেখ্যযোগ্য হারে কমে গিয়েছে চায়ের রফতানি। ফলে অভ্যন্তরীণ বাজারে বেড়েছে পানীয়ভিত্তিক এই উদ্ভিজ্জ উপাদানটির সরবরাহ। এতেই দামের পতন দেখা গিয়েছে।
ভারতে উৎপাদিত চায়ের সিংহভাগই আসে বাংলার দার্জিলিং এবং অসম থেকে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকাতেও চায়ের চাষ হয়। বিশ্বের বৃহত্তম চা উৎপাদনকারী দেশ হল চিন। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। পানীয়ভিত্তিক ফসলটির রফতানি হ্রাস পাওয়ায় চিন্তা বেড়েছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের।
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন ‘টি অ্যাসোসিয়েশন ইন্ডিয়া’র (টিএআই) সভাপতি সন্দীপ সিংহানিয়া। তাঁর কথায়, ‘‘৩০ নভেম্বরের পরও চা-পাতা তোলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। ফলে ডিসেম্বরের শেষে এর উৎপাদন কমবে ১২ কোটি কেজি। কিন্তু তার পরেও গত দু’মাসে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কমেছে দাম।’’
পাশাপাশি, চায়ের ব্যবহারও কমছে বলে জানিয়েছেন টি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে প্রিমিয়াম চায়ের দর। বর্তমানে এটি ৩০০ টাকায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। তবে আশার কথা হল, পশ্চিম এশিয়ায় রফতানি কমলেও ইউরোপ ও আফ্রিকায় এর চাহিদা কমেনি। নেপালের চা ভারতের বাজার নষ্ট করছে বলেও জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি সিংহানিয়া।