দ্বিগুণেরও বেশি লাভ করল গৌতম আদানির সংস্থা। ফাইল চিত্র।
পাঁচ মাসের মধ্যেই ঘুরে দাঁড়াল গৌতম আদানির ‘আদানি এন্টারপ্রাইজ’। চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ওই সংস্থার মুনাফা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার সংস্থার তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারির শেষে আমেরিকার লগ্নি গবেষণাকারী সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই শেয়ার বাজারে মুখ থুবড়ে পড়েছিল আদানি গোষ্ঠী। কারচুপি করে আদানিরা নিজেদের সংস্থাগুলির শেয়ার দর বৃদ্ধি করেছিল বলে অভিযোগ করে ওই বিদেশি সংস্থা। যা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই আদানিদের বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারের দামে পতন ঘটছিল। অবশেষে সেই ঝড় সামলে ছন্দে ফেরার কথা জানাল ওই সংস্থা।
আদানি এন্টারপ্রাইজ় লিমিটেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চতুর্থ ত্রৈমাসিক শেষে গত ৩১ মার্চ সংস্থার লাভ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭২২ কোটি টাকা। এক বছর আগে এই সময় সংস্থার মুনাফার অঙ্ক ছিল ৩০০ কোটি টাকা। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত বারের তুলনায় এ বার দ্বিগুণেরও বেশি লাভ হয়েছে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, আদানি এন্টারপ্রাইজ়ের এগজ়িকিউটিভ চেয়ারম্যান হিসাবে গৌতম আদানিকে আগামী ৫ বছরের জন্য পুনর্নিয়োগ করা হয়েছে।
সংস্থার তরফে আরও জানানো হয়েছে, কয়লার ব্যবসায় তাদের বিপুল লাভ হয়েছে। এই ব্যবসায় ৪২ শতাংশ লাভ হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। ওই ত্রৈমাসিকে কয়লার দাম কমে গেলেও ট্রেডিং ব্যবসায় লাভ হয়েছে। চলতি বছরে কয়লার চাহিদা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনই গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের খরচ বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলি জ্বালানি মজুত করেছে।
হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর বণিক মহলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল আদানি গোষ্ঠী। এই নিয়ে সরগরম হয়েছিল জাতীয় রাজনীতিও। আদানিদের সঙ্গে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘ঘনিষ্ঠতা’ নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী-সহ বিরোধীদের একাংশ। আদানিদের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা। এই বিতর্কের আবহে চতুর্থ ত্রৈমাসিকে নিজেদের মুনাফার কথা জানাল আদানিরা।