Anand Mahindra

‘স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকতে ভালবাসি’, এলঅ্যান্ডটি কর্তার মন্তব্যকে কটাক্ষ মহিন্দ্রা গোষ্ঠীর কর্ণধারের

দিনে কত ঘণ্টা কাজ করেন আনন্দ? মহিন্দ্রা গোষ্ঠীর কর্ণধারকে সরাসরি সেই প্রশ্ন করা হয়। আনন্দ বলেন, ‘‘দয়া করে আমায় এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবেন না। আমার কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন করুন। কত সময় ধরে কাজ করি তা নিয়ে নয়।’’

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:২৬
মহিন্দ্রা গোষ্ঠীর কর্ণধার আনন্দ মহিন্দ্রা।

মহিন্দ্রা গোষ্ঠীর কর্ণধার আনন্দ মহিন্দ্রা। ছবি: সংগৃহীত।

কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা প্রয়োজন, কত ঘণ্টা কাজ করা হচ্ছে তা নিয়ে নয়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করলেন মহিন্দ্রা গোষ্ঠীর কর্ণধার আনন্দ মহিন্দ্রা। শুধু তা-ই নয়, তিনি যে স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকতে প‌ছন্দ করেন তা-ও প্রকাশ্যে জানালেন।

Advertisement

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ‘ফার্স্টপোস্ট’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আনন্দকে প্রশ্ন করা হয় যে, সমাজমাধ্যমে তিনি সক্রিয় থাকার সময় বার করেন কী ভাবে? তার জবাবে আনন্দ বলেন, ‘‘আমি সমাজমাধ্যমে বেশি সময় কাটাই বলে কেউ যেন ভেবে না বসেন যে, আমি একাকিত্বে ভুগছি। আমার স্ত্রী খুব ভাল। ওর দিকে তাকিয়ে থাকতে ভালবাসি আমি। ওর সঙ্গে সময় কাটাই আমি। সমাজমাধ্যমে আমি বন্ধু পাতাতে আসিনি। সমাজমাধ্যম যে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য অসাধারণ ক্ষেত্র তা ভেবেই আমি অবাক হয়ে যাই। নিমেষের মধ্যে কত মানুষের মতামত জানতে পারি আমি।’’

দিনে কত ঘণ্টা কাজ করেন আনন্দ? মহিন্দ্রা গোষ্ঠীর কর্ণধারকে সরাসরি সেই প্রশ্ন করা হয়। আনন্দ বলেন, ‘‘দয়া করে আমায় এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবেন না। আমার কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন করুন। কত সময় ধরে কাজ করি তা নিয়ে নয়।’’ সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন এলঅ্যান্ডটি সংস্থার চেয়ারম্যান এসএন সুব্রহ্মণ্যন। শুধু তা-ই নয়, কর্মীদের রবিবারও অফিস করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি।

তিনি বলেছিলেন, ‘‘সব কিছু যদি আমার নিয়ন্ত্রণে থাকত তা হলে আমি রবিবারও আমার কর্মীদের কাজ করতে বলতাম। কিন্তু আমি তা পারি না। আমি নিজে রবিবার কাজ করি। বাড়িতে এত ক্ষণ থেকে কী করবে মানুষ? কত ক্ষণ একজন স্বামী তাঁর স্ত্রীর মুখ দেখবেন? একজন স্ত্রীই বা কত ক্ষণ বাড়ি বসে তাঁর স্বামীর মুখ দেখতে পারবেন? তার চেয়ে ভাল হয় সকলে অফিসে গিয়ে কাজ করুন। তাতে জীবনে উন্নতি হবে।’’

এলঅ্যান্ডটি কর্তার এমন মন্তব্যের পর চারদিকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। কর্মজীবনের ভারসাম্য বজায় রাখা নিয়ে কটাক্ষের শিকার হন সুব্রহ্মণ্যন। মহিন্দ্রা গোষ্ঠীর কর্ণধারের জবাবেও যেন কটাক্ষের সুর ভেসে উঠল।

Advertisement
আরও পড়ুন