কৃতী স্যানন।
মেকআপ শুরুর আগে প্রথমেই করতে হয় বেস মেকআপ। আপনি যে সাজই সাজুন না কেন, যে কোনও ধরনের মেকআপের প্রথম ধাপ এটাই। ছবিতে নায়িকাদের উজ্জ্বল ত্বকের যে লাবণ্য দেখতে পাওয়া যায়, তার অনেকটাই কিন্তু একটি ভাল বেস মেকআপের কৃতিত্ব। পুজোয় শাড়ি পরুন কিংবা পশ্চিমি পোশাক, মেকআপ তো করবেনই। তাই ঠিক মতো বেস মেকআপ করার পদ্ধতি জানা জরুরি। না হলে ত্বক অতিরিক্ত কালচে বা ফ্যাকাশে লাগতে পারে। সব মিলিয়ে মেকআপ হয়ে উঠবে চড়া দাগের।
কী ভাবে করবেন বেস মেকআপ?
১) পুজোর সাজে ত্বকে যাতে একটু অন্য রকম ঔজ্জ্বল্য আসে, তার জন্য বেছে নিন ইলিউমিনেটিং ময়শ্চারাইজার। এই ময়শ্চরাইজারের মধ্যেই হাইলাইটার মেশানো থাকায়, আলাদা করে হাইলাইটার লাগানোর দরকার হবে না। ময়শ্চরাইজারটি পুরো মুখে লাগিয়ে ভাল করে মাসাজ করে নিন। এটি ত্বকে একটা স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা এনে দেবে।
২) এর পরের ধাপ ফাউন্ডেশন। পুজোর সাজে চিরাচরিত ফাউন্ডেশন ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক তেলযুক্ত ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। বাজারে আর্গন অয়েল দেওয়া ফাউন্ডেশন পাওয়া যায়। এই ফাউন্ডেশন কয়েক ফোঁটা মুখে লাগিয়ে হাল্কা স্পঞ্জ দিয়ে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। এতে একটা হাল্কা তৈলাক্ত ভাব আসবে ত্বকে।
৩) ফাউন্ডেশন লাগানোর পর মুখের নানা অংশের কালো দাগ ও চোখের নীচের কালো দাগ ঢাকতে কনসিলার লাগান। দাগের অংশগুলিতে অল্প করে কনসিলার লাগিয়ে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। ত্বকের দাগ তো ঢাকবেই, পাশাপাশি ত্বককে আর্দ্রও রাখবে।
৪) বেস মেকআপের শেষ ধাপ কমপ্যাক্ট। পুরো মেকআপ যাতে ঠিক ভাবে মুখে বসে যায়, তার জন্য কমপ্যাক্ট লাগাতে হবে। এ ক্ষেত্রে ‘লং লাস্টিং কমপ্যাক্ট’ ব্যবহার করুন। এতে অনেক বেশি সময় মুখের মেকআপ স্থায়ী হবে। কমপ্যাক্টের পাফ কিংবা ব্রাশ দিয়ে পুরো মুখে হাল্কা করে কমপ্যাক্ট লাগান। ব্যস, তৈরি আপনার বেস মেকআপ।