প্রতীকী ছবি।
পুজো মানেই সাজগোজ, নতুন জামা, ফ্যাশন জগতের সাম্প্রতিক চল নিয়ে চর্চা। রূপটান, চুলের সাজ থেকে পোশাক আশাক— সব কিছু নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার একেবারে সুযোগ্য সময় পুজো। কিন্তু তাই বলে কি আর আপস করা যায় ত্বক বা চুলের যত্ন নিয়ে? পছন্দের সাজসজ্জার চাপে যদি ক্ষতি হয় চুল বা ত্বকের তা হলে গোটা পুজোই মাটি। কী ভাবে শরীর-স্বাস্থ্য বহাল তবিয়তে রেখেই পুজোর চার দিন দেদার সাজবেন? দেখে নিন তারই কিছু উপায়—
শারীরিক সুস্থতা:
১) পুজো মানেই ঝপ করে কমিয়ে ফেলবেন শরীরচর্চার জন্য বরাদ্দ সময়? ভুলেও এমন করবেন না। রোজ মন না চাইলে সপ্তাহে তিন দিনে নামিয়ে আনতে পারেন শরীরচর্চার রুটিন, কিন্তু তার কমে নয়। এই বাবদ ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা রাখলেই হবে।
২) গমের আটা বা চিনির বদলে কার্বোহাইড্রেট হিসাবে বেশি পরিমাণে নিন ভাত, রুটি, ওটস। নিত্যদিনের খাবার-দাবার থেকে বাদ দেওয়া যাবে না প্রোটিন। মুরগি, মাছ, সয়াবিন খান ভাপে, রোস্ট করে অথবা সিদ্ধ করে। বিভিন্ন বাদাম ও বীজের মতো ভাল ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রাখুন ডায়েটে। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট খান।
৩) এত কিছুর মধ্যেও সব চেয়ে হল পরিমাণ মতো জল। কোনও মতেই শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হতে দেওয়া যাবে না। বেশি জল খেলে আপনার শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যাবে।
ত্বকের যত্ন:
১) দিনে অন্তত ২.৫ থেকে ৩ লিটার জল খেতে হবে ত্বক আর্দ্র রাখার জন্য।
২) আমন্ড, ওয়ালনাট, কুমড়োর বীজ খান। এর ফলে আপনার ত্বক পাবে প্রয়োজনীয় খনিজ ও ভিটামিন ই।
৩) লেবুর মতো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খান। এটি আপনার ত্বকে পুনরায় নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করবে।
চুলের যত্ন:
১) পুজোর সময়ে চুলে কায়দা করা হবে না, তা কি হয়? কায়দা তো করলেন। কিন্তু স্ট্রেটনিং, কার্লিং বা রিবন্ডিং-এর ফলে অনেক রায়াসনিকের সঙ্গে সরাসরি সংযোগে আসে চুল। তাই এ সময়ে খেয়াল রাখতে হবে যেন চুলের গোড়া নষ্ট না হয়।
২) শরীরে ঘুমের ঘাটতি হতে দেবেন না। যতই ঘোরাঘুরি হোক, পরিমাণ মতো ঘুমিয়ে নেবেন। স্নায়ু সতেজ থাকলে চুলও ভাল থাকবে।
৩) বাইরে বেরোলে অবশ্যই চুলে রোদ লাগাবেন যাতে আপনার চুল যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ডি পায়।
৪) মোটা দানার চিরুনি ব্যবহার করুন। চুল যদি হয় কোঁকড়ানো তা হলে বেশি আঁচড়াবেন না। ভেজা অবস্থায় মোটা দানার চিরুনি দিয়ে অবিন্যস্ত চুল সাজিয়ে নিতে পারেন। তবে চুল শুকনো থাকলে হাত দিয়েই সেই কাজ সারুন।