—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ভারত এবং বাংলাদেশ— দু’তরফ থেকেই সীমান্ত সুরক্ষিত রয়েছে। বুধবার উত্তরবঙ্গ সফরের পরে এমনই দাবি করলেন সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ডিজিদলজিৎ সিংহ চৌধুরী। এ দিন কোচবিহার সীমান্তে তিন বিঘা ‘করিডর’ এলাকা পরিদর্শন করে, বিকেলে শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া ফুলবাড়ি সীমান্তে যান তিনি। এরই মধ্যে, জঙ্গি সন্দেহে ধৃত জাভেদ মুন্সির মতো কোনও সন্দেহভাজন আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং-সহ সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা দিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছে কি না, নজরে রাখতে বুধবার সকাল থেকে গোসাবার সমস্ত খেয়াঘাটে নাকা-তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ-প্রশাসন। কারণ, বড়দিনের ছুটিতে সুন্দরবনে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে।
বিএসএফের ডিজি এ দিন তিন বিঘা এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন। পরে ফুলবাড়়িতে তিনি বলেন, ‘‘ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের কিছু এলাকা ঘুরে দেখেছি। সীমান্তের নিরাপত্তা বিএসএফ যথাযথ ভাবে পালন করছে।’’ তিনি জানান, সীমান্তে প্রত্যেক ‘পয়েন্ট’, ‘সেক্টর’-এ বিজিবির সঙ্গে সমন্বয় রেখেনজরদারি চলছে। বলেন, ‘‘নিশ্চিত ভাবে বলা যায়, সীমান্তকে দুতরফ থেকেই সুরক্ষিত রাখা হয়েছে।’’ সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানে দিল্লি ফেরেন তিনি।
সুরক্ষাজনিত কারণে নজরদারি বেড়েছে ক্যানিংয়েও। সেখানকার ঢালিপাড়া এলাকা থেকে গত শনিবার রাতে গ্রেফতার হয় তেহরিক-উল-মুজাহিদিনের সক্রিয় সদস্য জাভেদ। গোয়েন্দাদের দাবি, সম্প্রতি ক্যানিংয়ে এসে এক আত্মীয়ের কাছে আশ্রয় নিয়েছিল সে। আগেও একাধিক বার ক্যানিংয়ে এসেছিল। কেন বার বার সে এই এলাকায় আসা-যাওয়া করেছিল, কোনও নাশকতার ছক ছিল কি না, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
পাশাপাশি, বড়দিনের ছুটির মরসুমে যখন বহু পর্যটক সুন্দরবন ভ্রমণে আসছেন, সে সময় বারুইপুর পুলিশ-জেলার অন্তর্গত গোসাবা থানা, সুন্দরবন কোস্টাল থানা, ঝড়খালি কোস্টাল থানার মতো উপকূলবর্তী এলাকায় বাড়ানো হয়েছে পুলিশি নজরদারি। এ দিন সকাল থেকে গোসাবার সমস্ত খেয়াঘাটে তল্লাশি করা হয়েছে। বারুইপুর পুলিশ-জেলার এক কর্তা বলেন, “জাভেদের মতো কেউ যাতে এই এলাকায় ঢুকে পড়তে না পারে, সে কারণেনাকা-তল্লাশির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ব্যাপারে কোনও ঝুঁকি আমরা নিতে চাইছি না।”