প্রথমা / মা শৈলপুত্রী - সতীর দেহত্যাগের পরে পুনর্বার জন্মগ্রহণ করেছেন হিমালয়দুহিতা পার্বতী রূপে। এই রূপে তিনি কেবলই ষোড়শী, শ্যামাঙ্গী বালিকা। গিরিরাজ তাকে বড় স্নেহে পালন করছেন। তাই তো করতে হয়। কন্যা যখন বালিকা, তখন তাকে স্নেহের প্রশ্রয়ে রাখতে হয়, তাকে আগলে রাখতে হয়। এবং এ শুধু পিতামাতার কর্তব্য নয়, যাঁরা আশপাশে রয়েছেন, তাঁদেরও এটি কর্তব্য। তার ক্ষতি আগামীকালের এক মায়ের ক্ষতি।
দ্বিতীয়া/ মা ব্রহ্মচারিণী - এই বার কন্যা শিক্ষার অঙ্গনে প্রবেশ করছে। শিক্ষা কঠিন সাধন। বিদ্যাচর্চার অন্যতম হল ব্রহ্মচর্য যাপন। অর্থাৎ মনকে বিক্ষিপ্ত না করে শুধুমাত্র বিদ্যার সাধনের দিকেই নিবিষ্ট করতে হবে। মা তাই এই রূপে ব্রহ্মচারিণী। তিনি শিবকে পেতে কঠিন তপস্যায় রত। অর্থাৎ নারী-পুরুষ যখন নিজের সাধনায় সিদ্ধি লাভ করে, সফল হয়। সে কিন্তু আর্থিক ও মানসিক ভাবে স্বাধীন। তার কিন্তু নিজের জীবন বাছার, নিজের জীবনসঙ্গী বাছার পূর্ণ অধিকার।
চতুর্থী / মা কুষ্মাণ্ডা - বধূ রূপে কন্যার বিবাহ জীবনের দ্বিতীয় পর্যায়, মাতৃত্ব। এখানে অণ্ড অর্থাৎ ডিম। এই মহাজগৎ সৃষ্টি হয়েছে ডিম থেকেই। তাই তো আমরা বলি ব্রহ্মাণ্ড। মানুষ থেকে প্রাণী ডিম্বাণু বা রেণুর নিষেক– বীজ বা ভ্রুণ, এই তো সার। মা নারী। তাঁর গর্ভাশয় সেই মস্ত মহাজাগতিক প্রজনন ক্ষেত্র। পক্ষান্তরে ডিম্ব তাই মায়ের এই রূপ কুষ্মাণ্ডা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy