প্রথমে জেনে নেওয়া যাক কী কী থাকে এই নবপত্রিকায়। "রম্ভা, কচ্চী, হরিদ্রা চ জয়ন্তী বিল্বদাড়িমৌ অশোকা মানকঞ্চেব ধান্যঞ্চ নবপত্রিকা" অর্থাৎ, কদলী বা রম্ভা (কলা), কচু, হরিদ্রা (হলুদ), জয়ন্তী, বিল্ব (বেল), দাড়িম্ব (দাড়িম), অশোক, মান ও ধান। একটি সপত্র কলা গাছের সঙ্গে অপর আটটি সমূল সপত্র উদ্ভিদ একত্র করে এক জোড়া বেল-সহ শ্বেত অপরাজিতা লতা দিয়ে বেঁধে লাল পাড় সাদা শাড়ি জড়িয়ে ঘোমটা দেওয়া বধূর আকার দেওয়া হয়।
এর পর নবপত্রিকার অভিষেক এবং অধিবাস। বেল তলায় যেমন দেবী দুর্গার অধিবাস হয়, তেমন নবপত্রিকারও অধিবাস হয়। বিধি মতে পুজোর পর নবপত্রিকা সিঁদুরচর্চিত করে সপরিবার প্রতিমার ডান দিকে দাঁড় করিয়ে পুজো করা হয়। প্রচলিত ভাষায় নবপত্রিকার নাম কলাবউ। পূজমণ্ডপে নবপত্রিকা প্রবেশের মাধ্যমে দুর্গাপূজার মূল অনুষ্ঠানটির প্রথাগত সূচনা হয়।