কিন্তু দেবরাজ সেই মালা নাকি ঐরাবতের দিকে ছুঁড়ে দেন। আর ঐরাবতও সেই মালা নিজের পায়ে দলে দেয়। স্বাভাবিক ভাবেই অপমানিত বোধ করেন দুর্বাসা।
০৩০৮
তিনি বেজায় ক্ষিপ্ত হয়ে দিয়ে বসলেন অভিশাপ। কিন্তু অভিশাপ দিলেন কাকে? দেবী লক্ষ্মীকে।
০৪০৮
দুর্বাসা অভিশাপ দেন, স্বর্গ এবার লক্ষ্ণীহীন হয়ে পড়ুক। ফলস্বরূপ, মা লক্ষ্মীর স্থান হয় সমুদ্রগর্ভে আর স্বর্গ হারায় তার জৌলুস।
০৫০৮
এর পর সমুদ্রমন্থন ঘিরে দেবাসুরে হয় সংঘর্ষ। সমুদ্রমন্থনে উঠেছিল গরল ও অমৃত, উঠেছিল নানা মণিমানিক্যের সম্ভার। এই সমুদ্রমন্থনের সময়ই বিষ্ণু ফিরে পেয়েছিলেন লক্ষ্মীকে।
০৬০৮
অবশ্য ভিন্ন কাহিনিও রয়েছে।স্কন্দ পুরাণে বলা হয়েছে, নারায়ণকে স্বামী হিসেবে পেতে লক্ষ্মী সমুদ্রের গর্ভে প্রবেশ করে বছরের পর বছর ধরে কঠোর তপস্যা করেছিলেন। আর সেই সময়ে বহু দেবতাই ছদ্মবেশে লক্ষ্মীর সামনে আসেন।
০৭০৮
কিন্তু লক্ষ্মী তাঁদের বিশ্বরূপ দেখাতে বলেন। স্বাভাবিকভাবেই তা কেবল বিষ্ণুই দেখাতে পারেন। ফলে অন্য দেবতারা ফিরে যেতে বাধ্য হন।
০৮০৮
শেষপর্যন্ত দেখা দেন নারায়ণ এবং তাঁর সঙ্গেই বিয়ে হয় দেবী লক্ষ্মীর। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।