শিব পুরাণ অনুযায়ী সঞ্জীবনী মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্রের গোপন রহস্য একমাত্র পার্বতীকে জানিয়ে ছিলেন মহাদেব। তখন থেকেই মহামৃত্যুঞ্জয় জপ, রুদ্রাভিষেক, রুদ্র যজ্ঞ, ভজন, পূজন করলে রাজভয়, বিদ্রোহ, মহামারী, অসাধ্য রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মধ্যপ্রদেশের এই মন্দিরে এসে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ ও পুজো করলে মহাদেব শীঘ্র প্রসন্ন হন।
শ্রাবণ মাসে এই মন্দিরে শিব ভক্তদের ভিড় বাড়ে। কথিত আছে, মন্দিরে অবস্থিত স্বয়ম্ভূ মহামৃত্যুঞ্জয়কে জল নিবেদন করলে সমস্ত কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই মন্দিরের শিবলিঙ্গ অন্যান্য সমস্ত মন্দিরের শিবলিঙ্গ থেকে পৃথক। এই মন্দিরে যে শিবলিঙ্গ রয়েছে তাতে ১০০১টি ছিদ্র বর্তমান। ভারত বা বিশ্বের অন্য কোনও মন্দিরে এমন শিবলিঙ্গ নেই।
এই মন্দিরে তাঁর তিন বার পুজো ও অভিষেক করার প্রথা প্রচলিত রয়েছে। সূর্যের প্রথম আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে ভোর সাড়ে পাঁচটায়, দুপুর ১২টায় মন্দির বন্ধ হওয়ার সময় এবং সন্ধ্যাবেলা আরতীর সময়ে শিবের পুজো করা হয়।
একদা একদল সাধু একটি শিবলিঙ্গ নিয়ে এই স্থান অতিক্রম করছিলেন। রাতে বিশ্রামের জন্য তাঁরা এখানে অবস্থান করেন। সেই সময় সেই শিবলিঙ্গটিকে সেখানেই স্থাপিত করে দেওয়ার স্বপ্নাদেশ পান তাঁরা। তারপর সেখানেই সেই স্বয়ম্ভূ মহামৃত্যুঞ্জয় শিবের পুজো হতে থাকে।
৫০০ বছর আগে বঘেল রাজপরিবারের মহারাজা এখানে মহামৃত্যুঞ্জয়ের অলৌকিক শক্তি অনুভব করে মন্দির নির্মাণ করেন। এই নামে সারা ভারতে আরও বেশ কিছু মন্দির আছে।
মন্দিরে যেতে হলে: হাওড়া থেকে ট্রেনে রেওয়া। ২২ ঘন্টার যাত্রা। রেওয়া থেকে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্দিরের দূরত্ব ৭ কিমির মতো। কাছের বিমানবন্দর খাজুরাহো। এখান থেকে মন্দিরের দূরত্ব ৯০ কিমি।
(এই মন্দির সম্পর্কে প্রচলিত কাহিনিতে জীবন যাপন নিয়ে যে দাবি করা হয়ে থাকে, তা নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইন দায়ী নয়। )
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy