প্রতীকী চিত্র
লক্ষ্মীর ভান্ডার এখন আপামর বাংলার মহিলাদের পছন্দের জিনিস। কিন্তু লক্ষ্মীর ভাঁড়? কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমায় কখনও কিনে দেখেছেন? আপনার 'ভাঁড়ে মা ভবানী' হতে বাঁচাবে এই লক্ষ্মীর ভাঁড় যদি পূর্ণিমার পূণ্য লগ্নে আপনি কিনে ফেলতে পারেন।
আর সেই কথা মাথায় রেখেই বাজার ছেড়ে গেছে লক্ষ্মীর ভাঁড়ে। লাল রঙের লক্ষ্মীর ভাঁড় অনেকটা ছোট গ্যাস সিলিন্ডারের মতো দেখতে। আর একদম উপরের দিকে রয়েছে কয়েন বা টাকা ফেলার জন্য ছোট্ট একটি ফুটো।
বিজয়া দশমীর সময় থেকেই যখন লক্ষ্মীপুজোর বাজার গরম হয়ে উঠেছে, তখন এই লক্ষ্মীর ঘট আসরে নেমে পড়েছে আমজনতার কপাল ফেরাতে। কোচবিহার জেলা থেকে একদল মৃৎশিল্পী এই লক্ষ্মীর ভাঁড় তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন সারা বছর।
কথিত আছে গৃহস্থের ঘরে যখন মা লক্ষ্মী অধিষ্ঠান করেন, তখন তার এক হাতে থাকে পদ্ম আর এক হাতে থাকে লক্ষ্মীর ভাঁড় এবং ধানের ছড়া। অর্থাৎ ধন-সম্পদ, ঐশ্বর্য, খাদ্যশস্য এই সবকিছুর দেবী হিসেবে লক্ষ্মীকে মানা হয়। তাই ফলমূল প্রসাদের সঙ্গে সঙ্গে লক্ষ্মীর আরাধনায় লক্ষ্মীর ভাঁড় কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বাঙালি।
সাধারণত এঁটেল মাটি দিয়ে তৈরি হয়, এই মাটির লক্ষ্মীর ভাঁড়। সারা বছরের বিক্রি বাট্টা অল্প হলেও ঠিক লক্ষ্মী পুজোর আগেই ফুলে-ফেঁপে ওঠে এই লক্ষ্মীর ভাঁড় বিক্রি। শুধু লক্ষ্মী পুজোর কথা মাথায় রেখেই মৃৎ শিল্পীরা সারা বছর ধরেই বানান লক্ষ্মীর ভাঁড়। অতি আধুনিকতার যুগেও পুরনো বিশ্বাস থেকেই এই লক্ষ্মীর ভার বিক্রি এখনও বন্ধ হয়নি। তাই আর দেরি কীসের? আপনার ভাগ্য ফেরাতে লক্ষ্মী পুজোর মরশুমে ঘরে আনতেই পারেন লাল টুকটুকে একটি লক্ষ্মীর ভাঁড়। মা লক্ষ্মীর অপার আশীর্বাদ বর্ষিত হবে আপনার জীবনে।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy