Advertisement

Associate Partner

Style Partner

Associate Partner

Weddings Partner

Food Partner

লক্ষ্মীর ইতিহাস

লক্ষ্মীপুজো তো করছেন, দেবী লক্ষ্মীর ইতিহাস জানেন? লক্ষ্মীপুজো করার আদর্শ সময় কী?

সাধারণত গৃহস্থ বাঙালি বাড়িতে প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করা হয়। কিন্তু কোজাগরী পূর্ণিমা তিথি একটি বিশেষ তিথি। সেই সময় মহা ধূমধাম করে বাঙালি ফলমূল, পদ্ম, নারকেল, নাড়ু, বড়ি, খই, দই, মিষ্টি সহকারে লক্ষ্মী আরাধনায় মেতে ওঠে।

আনন্দ উৎসব ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:২৭
Share: Save:
০১ ১০
বাংলায় শারদীয়া দুর্গোৎসবের ঠিক চার দিন পরেই ঘরে ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর আরাধনা করা হয়। আশ্বিন মাসের শেষ পূর্ণিমা তিথিতে বাঙালির ঘরে লক্ষ্মীপুজো যেন চিরন্তন প্রার্থনা। লক্ষ্মী সাধারণত ধন-সম্পদের দেবী রূপে পূজিত হন।

বাংলায় শারদীয়া দুর্গোৎসবের ঠিক চার দিন পরেই ঘরে ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর আরাধনা করা হয়। আশ্বিন মাসের শেষ পূর্ণিমা তিথিতে বাঙালির ঘরে লক্ষ্মীপুজো যেন চিরন্তন প্রার্থনা। লক্ষ্মী সাধারণত ধন-সম্পদের দেবী রূপে পূজিত হন।

০২ ১০
সাধারণত গৃহস্থ বাঙালি বাড়িতে প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করা হয়। কিন্তু কোজাগরী পূর্ণিমা তিথি একটি বিশেষ তিথি। সেই সময় মহা ধূমধাম করে বাঙালি ফলমূল, পদ্ম, নারকেল, নাড়ু, বড়ি, খই, দই, মিষ্টি সহকারে লক্ষ্মী আরাধনায় মেতে ওঠে।

সাধারণত গৃহস্থ বাঙালি বাড়িতে প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করা হয়। কিন্তু কোজাগরী পূর্ণিমা তিথি একটি বিশেষ তিথি। সেই সময় মহা ধূমধাম করে বাঙালি ফলমূল, পদ্ম, নারকেল, নাড়ু, বড়ি, খই, দই, মিষ্টি সহকারে লক্ষ্মী আরাধনায় মেতে ওঠে।

০৩ ১০
সাধারণত লক্ষ্মীপুজোর উপাচার মাস ভেদে পরিবর্তনশীল। লক্ষ্মীপুজো সকাল থেকেই করা হয়। কিন্তু কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর সময় প্রদোষকাল অর্থাৎ সন্ধ্যা বেলা। সূর্যাস্ত হওয়ার পরে গৃহস্থের ঘরে যে সন্ধ্যা নামে, ঠিক তখন থেকে মাঝরাত পর্যন্ত লক্ষ্মীপুজোর আদর্শ সময়কাল হিসেবে ধরা হয়।

সাধারণত লক্ষ্মীপুজোর উপাচার মাস ভেদে পরিবর্তনশীল। লক্ষ্মীপুজো সকাল থেকেই করা হয়। কিন্তু কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর সময় প্রদোষকাল অর্থাৎ সন্ধ্যা বেলা। সূর্যাস্ত হওয়ার পরে গৃহস্থের ঘরে যে সন্ধ্যা নামে, ঠিক তখন থেকে মাঝরাত পর্যন্ত লক্ষ্মীপুজোর আদর্শ সময়কাল হিসেবে ধরা হয়।

০৪ ১০
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো- কথিত আছে, দেবী লক্ষ্মী রাতে মর্ত্যে নেমে গৃহস্থ বাঙালির ঘরে ঘরে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, ‘কে জেগে আছ?’ তাই রাত জেগে লক্ষীর আরাধনা করাই এই পুজোর বিশেষ আচার।

কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো- কথিত আছে, দেবী লক্ষ্মী রাতে মর্ত্যে নেমে গৃহস্থ বাঙালির ঘরে ঘরে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, ‘কে জেগে আছ?’ তাই রাত জেগে লক্ষীর আরাধনা করাই এই পুজোর বিশেষ আচার।

০৫ ১০
পুরাণ অনুযায়ী, লক্ষ্মী দেবসেনা রূপে জন্ম নিয়ে কার্তিকেয়র পত্নী হন। আবার কিছু পুরাণ মতে, তিনি গণেশ-পত্নী। পরে লক্ষ্মী এবং সরস্বতী একই রূপে গণ্য হয়। সেই সময় থেকে শস্য ও সম্পদের দেবী হিসেবে গণ্য করা হয় লক্ষ্মীকে।

পুরাণ অনুযায়ী, লক্ষ্মী দেবসেনা রূপে জন্ম নিয়ে কার্তিকেয়র পত্নী হন। আবার কিছু পুরাণ মতে, তিনি গণেশ-পত্নী। পরে লক্ষ্মী এবং সরস্বতী একই রূপে গণ্য হয়। সেই সময় থেকে শস্য ও সম্পদের দেবী হিসেবে গণ্য করা হয় লক্ষ্মীকে।

০৬ ১০
পুরাণে এমন ইতিহাস রয়েছে যেখানে দূর্বাশা মুনির অভিশাপে লক্ষ্মীকে ত্রিলোক ছাড়তে হয়েছিল। দূর্বাশা মুনি একটি পারিজাত ফুলের মালা উপহার দিয়েছিলেন ইন্দ্রকে।

পুরাণে এমন ইতিহাস রয়েছে যেখানে দূর্বাশা মুনির অভিশাপে লক্ষ্মীকে ত্রিলোক ছাড়তে হয়েছিল। দূর্বাশা মুনি একটি পারিজাত ফুলের মালা উপহার দিয়েছিলেন ইন্দ্রকে।

০৭ ১০
ইন্দ্র যখন রম্ভা ও সম্ভোগে মত্ত, ঠিক তখন ওই মালার কদর বোঝেননি এবং এক ঐরাবতীর গলায় ছুড়ে দেন। রেগে ক্ষুব্ধ হয়ে দূর্বাশা মুনি দেবরাজ ইন্দ্রকে অভিশাপ দিলেন, ‘‘তোমার ত্রিলোক এখন লক্ষ্মীছাড়া হবে। অর্থাৎ লক্ষ্মীর নির্বাসন।’’

ইন্দ্র যখন রম্ভা ও সম্ভোগে মত্ত, ঠিক তখন ওই মালার কদর বোঝেননি এবং এক ঐরাবতীর গলায় ছুড়ে দেন। রেগে ক্ষুব্ধ হয়ে দূর্বাশা মুনি দেবরাজ ইন্দ্রকে অভিশাপ দিলেন, ‘‘তোমার ত্রিলোক এখন লক্ষ্মীছাড়া হবে। অর্থাৎ লক্ষ্মীর নির্বাসন।’’

০৮ ১০
লক্ষ্মী প্রবেশ করলেন পাতালে। এরপর সমুদ্রমন্থনের পর রত্নাকর থেকে উত্থিত হলেন যিনি, তাঁর নাম শ্রী। তিনি লক্ষ্মী নন। শ্রী ও লক্ষ্মী দুই পৃথক দেবী ছিলেন। কিন্তু তাঁরা পরে মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছেন।

লক্ষ্মী প্রবেশ করলেন পাতালে। এরপর সমুদ্রমন্থনের পর রত্নাকর থেকে উত্থিত হলেন যিনি, তাঁর নাম শ্রী। তিনি লক্ষ্মী নন। শ্রী ও লক্ষ্মী দুই পৃথক দেবী ছিলেন। কিন্তু তাঁরা পরে মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছেন।

০৯ ১০
লক্ষ্মী ছিল ভৃগুর কন্যা, মায়ের নাম খ্যাতি। এক হাতে পদ্ম আর এক হাতে অমৃতের কলস। তাঁর রূপে গুণে মুগ্ধ হয়ে দেব দানবের মধ্যে যুদ্ধ লেগে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ছলে-বলে কৌশলে বিষ্ণুদাকে প্রত্ন রূপে গ্রহণ করেন। স্ত্রী ও লক্ষ্মী একাকার হয়ে বিষ্ণুর পত্নী হন।

লক্ষ্মী ছিল ভৃগুর কন্যা, মায়ের নাম খ্যাতি। এক হাতে পদ্ম আর এক হাতে অমৃতের কলস। তাঁর রূপে গুণে মুগ্ধ হয়ে দেব দানবের মধ্যে যুদ্ধ লেগে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ছলে-বলে কৌশলে বিষ্ণুদাকে প্রত্ন রূপে গ্রহণ করেন। স্ত্রী ও লক্ষ্মী একাকার হয়ে বিষ্ণুর পত্নী হন।

১০ ১০
তিনি পদ্মাসনা আর তাঁর বাহন শ্বেত পেঁচা। কথিত আছে লক্ষ্মী একবার তুলসী, একবার ঘোটকী হয়েও জন্মান। জ্যোৎস্না প্লাবিত এই পৃথিবীর হেমন্তে দেবী লক্ষ্মী আসেন শুধু একটি রাতের অতিথি হয়ে।

তিনি পদ্মাসনা আর তাঁর বাহন শ্বেত পেঁচা। কথিত আছে লক্ষ্মী একবার তুলসী, একবার ঘোটকী হয়েও জন্মান। জ্যোৎস্না প্লাবিত এই পৃথিবীর হেমন্তে দেবী লক্ষ্মী আসেন শুধু একটি রাতের অতিথি হয়ে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy