কালরাত্রি: কাল অর্থাৎ সময় পঞ্চভূতের মারক। এক কথায় সবার সমাপ্তি ঘটায় সময়। কিন্তু দেবী হলেন সাক্ষাৎ শক্তি। বিজ্ঞানও বলে, শক্তির বিনাশ ও সৃষ্টি নেই। অর্থাৎ তিনি-ই অনন্ত। কালের শেষ তাঁর হাতে, তাই তিনি কালেরও রাত্রি অর্থাৎ বিনাশিকা। কারণ, প্রলয়কালে চলিত কালেরও বিনাশ হবে। তাই রূপও ভীষণ। আলুলায়িত বেনী ( খোলা চুল), কৃষ্ণবর্ণ, অট্টহাস্য, খড়্গ-লৌহকন্টক-বরাভয় হস্ত।
মহাগৌরী: মাতৃকায়া উজ্জ্বল, কলুষ বিহীন। মাতা কিন্তু আদিতে ঘোরতর কৃষ্ণবর্ণা। মহাদেব তাই বলে ফেলেছিলেন, কালী! এতে মাতা অভিমানী হয়েছিলেন। ধ্যানে বসলেন দেবী। গৌরবর্ণা গৌরী তাঁকে হতেই হবে। প্রজাপতি ব্রহ্মা তাঁকে গৌরী করলেন, কিন্তু সেই সাথে নিজেও পাল্টা বর চেয়ে নিলেন। এই কালী রূপ তিনি ছাড়বেন না। এই রূপেই সময় এলে তিনি বধ করবেন শুম্ভ-নিশুম্ভকে। দেবী সম্মত হলেন। আমরা পেলাম পরিপূরক রূপ— দেবী কৌশিকি, দেবী চামুণ্ডা ও মাতা চণ্ডী। তাই তো হয়, সন্ধিপুজো! চণ্ড-মুণ্ড সহ সমগ্র অসুর বধ করতে মায়ের লেগেছিল দুই দণ্ডকাল, অর্থাৎ অষ্টমী-নবমীর ২৪ মিনিট করে ৪৮ মিনিট। মহা গৌরী হতে চামুণ্ডা হয়ে চণ্ড-মুণ্ড অর্থাৎ কু-প্রবৃত্তি কে নিবৃত্তি দিয়েছিলেন। আবার একেবারে যোগ মুহূর্তে বা শূন্য মুহূর্তে বধ হল মহিষাসুর রূপ আত্ম- অহং।তাই তো ১০৮ ভক্তিদীপে, অন্তঃস্থিত ১০৮ পদ্ম সমর্পণে সন্ধিপূজা সমাপন হয়। সন্ধিপূজা আসলে মনশুদ্ধি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy