অন্দরসজ্জায় অনেক সময়ই অবহেলিত ঘরের কর্নার। ঘর ঝাড়ু দিয়ে কর্নারে এসে জমা করেন কেউ কেউ। বেশিরভাগ কর্নার দরজার আড়ালেই থেকে যায়। চিরকাল আড়ালে থেকে যাওয়া ঘরের কর্নার নিয়েই কথা হোক আজ।
প্রায় প্রতিটা ঘরে চারটি কর্নার থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় একটি কর্নার দরজার কারণে আড়াল করা। অর্থাৎ সেই কর্নারে বা কোণে দরজার পাল্লা থাকায় সে কর্নার দিয়ে কিছু হয় না। অনেক ক্ষেত্রে কোনও জানালা কর্নার ঘেঁষে হয়। সে ক্ষেত্রেও ঘরের কর্নারকে খুব একটা কাজে লাগানো যায় না। বাকি তিনটি কর্নার প্রতিটি ঘরে, মোটামুটি এই হিসেবেই ভাবলে সে কর্নারগুলোকে সাজিয়ে তোলা যায়।
মূলত দরজার পাল্লায় কোনও বাধা না পেলে, ঘরের কর্নারকে কাজে লাগিয়ে ওয়ার্ডরোব তৈরি করে নেওয়া যায়। একটা কর্নার থেকে শুরু করে অন্য কর্নার পর্যন্ত টানা ওয়ার্ডরোব হতে পারে। সেক্ষেত্রে দেওয়াল ঘরের ভিতরের দিকের হওয়া চাই, যাতে ভিতরের দিকে জানালা না থাকে। এছাড়াও কর্নার থেকে শুরু করে কিছুটা ওয়ার্ডরোব বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণের জানলা যেন একমুঠো খোলা হাওয়া
কর্ণারের দিকে ওয়ার্ডরোব থাকার সুবিধা আছে। ঘরের একটা প্রান্ত যেমন ঠিক তেমনই ঘরের কর্নার গুলোতে সাধারণত পিলার থাকে। আর বেরিয়ে থাকা পিলার আড়ালে রাখার জন্যে ওয়ার্ডরোবের আচ্ছাদন জরুরি।
কিচেন কর্নার প্ল্যাটফর্মের উপরে কর্নার ক্যাবিনেট করা যেতে পারে।
বেড রুমে খাটের পাশের কর্নারটা গুরুত্বপূর্ণ। এমনিতে বেড সাইড টেবিল থাকে। কর্নারের দিকে সাড়ে তিন ফুট বা চার ফুটের দূরত্ব থাকলে ড্রেসিং এরিনা বানিয়ে নেওয়া যায়। সাইড টেবিলটাই কিছুটা লম্বায় বড় হয়ে যায়। ড্রয়ার দরকার হয় কয়েকটা। আর দেওয়ালে বড় একটি আয়না। খাটের পাশের কর্নারে ড্রেসিংটেবিল ঘরের চেহারাটাই পাল্টে দেয়।
আরও পড়ুন: পুরনোকে আসবাবে নতুন স্বাদ অ্যান্টিক অন্দরসজ্জা
ড্রইংরুমের কর্নার নানা ভাবে সাজিয়ে তোলা যায়। কর্নার শো পিস র্যাক থেকে শুরু করে ফিক্সড ওয়াল র্যাক ঘরের অন্দরসজ্জার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্নারে কী ধরনের আসবাব রাখবেন সেটা ঠিক করে নেওয়া যায়।
কর্নার যদি বেশ চওড়া হয় অর্থাৎ দুদিকেই অনেকটা করে জায়গা থাকে তাহলে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি বা স্কেচ ছোটো ছোটো ফ্রেমে সারি দিয়ে লাগানো যেতে পারে। সঙ্গে অবশ্যই থাকবে স্পট লাইট। তবে কর্নারে কখনওই বড় ছবি রাখা ঠিক নয়।
কিচেন কর্নারের ডাউন ক্যাবিনেটে লাগানোর জন্য আলাদা ট্রে পাওয়া যায় ফিটিংস-সহ।এটি ব্যবহার করাও সহজ। শৌচাগারের কর্নারে বেসিন লাগানোর চল রয়েছে। বড় শৌচাগার হলে একটা কর্নারে শাওয়ার কিউবিক্যাল। প্রবেশ দরজার পাশের দেওয়ালে বা কর্নারে চাবির রিং ঝোলানো থেকে শুরু করে অন্য কিছু ঝোলানোর জন্য হ্যাঙ্গার। কিচেনের কাউন্টারের উপরের কর্নারে সিঙ্ক রাখা যায়। বড় জায়গা হলে কিচেন কর্নার প্ল্যাটফর্মের উপরে কর্নার ক্যাবিনেট করা যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy