স্যানিটাইজ করার স্প্রে দিয়ে বাড়ি জিবানুমুক্ত করুন।
হঠাৎ করে পাল্টে যাওয়া সময়ে আস্তে আস্তে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাই বড় কথা। অন্দরসজ্জার ক্ষেত্রেও তাই। বেশ কিছু মাস ধরে চলা লক ডাউনের সময় অন্দরসজ্জার কাজ সব বাড়িতেই বন্ধ ছিলো। অনেকেই নতুন ফ্ল্যাটে বা বাড়িতে অন্দরসজ্জার কাজ করাতে গিয়ে আটকে পরেছেন। এ সমস্ত সত্যিকারের সমস্যা অনেক মানুষকেই অসুবিধায় ফেলেছে।
এখন তুলনামূলক ভাবে কিছুটা পরিস্থিতির বদল ঘটেছে। আনলকের পর্বে আস্তে আস্তে অন্দরসজ্জার কাজ শুরু হচ্ছে। সমস্ত নিয়ম মেনে কম সংখ্যক নির্মাণ কর্মী নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। অন্দরসজ্জার কাঁচা মাল সমস্ত বেশ যত্ন করে সম্পূর্ণ স্যানিটাইজ করে পাঠাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা।
কিন্তু নতুন কিছু না করলেও এই সময়ের বাড়ির অন্দরসজ্জা এবং ঘরের চারপাশ সম্পূর্ণ স্যানিটাইজেশনের আওতায় নিয়মিত নিয়ে আসা দরকার। স্যানিটাইজ করার স্প্রে দোকানে কিনতে পাওয়া যায়। সে গুলো সবসময় বাড়িতে রাখবেন। বাইরের কোনও লোক সাধারণত এই সময় নিশ্চই বাড়িতে আসছেন না। এলে সঙ্গে সঙ্গে তার বসার জায়গা স্যানিটাইজ করে দিন। আবার তিনি চলে গেলেও সেটা করুন। বাড়িতে সহায়িকার যদি নিয়মিত যাতায়াত থাকে, তাহলে তার আসার আগে বা পরেও সেই জায়গাটা স্যানিটাইজ করে দিন। প্রবেশ দ্বারের সামনেই কোনও একটা জায়গায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখুন। এখন স্ট্যান্ড স্যানিটাইজারও পাওয়া যায়। সেটাও রাখতে পারেন। দাম খুব একটা বেশী নয়।
আরও পড়ুন : পুজোর আগে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন মিনি জিম, কী করতে হবে?
আবাসনের ক্ষেত্রে বজায় থাকুক পরিচ্ছন্নতা।ছবি :শাটার স্টক
বাড়িতে পাউডার টয়লেট থাকবার প্রয়োজনীয়তা এবার অনেকেই উপলব্ধি করতে শিখবে। প্রবেশ দরজার সামনে বা পাশেই ছোট্ট একটা শৌচাগার। যেখানে একটা বেসিন আর একটা কোমোড থাকলেই হবে। এই শৌচাগারটি ঘরে পরিচ্ছন্নতার আবহ তৈরি করে দিতে পারে। বাইরে থেকে কেউ এলে, কিম্বা আপনি বাইরে থেকে এলে যাতে সাবান জলে হাত, মুখ, পা একেবারে ধুয়ে নিতে পারেন। এই শৌচাগারে গিজার থাকাটা দরকার। কেউ বাইরে বেরলেই ফিরে এসে স্নান করছেন। গিজার চালিয়ে গরম জলে স্নান করে নেওয়াটা দরকার এখন। জুতোর ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন জরুরি। ঘরের ভিতর না রেখে জুতো ঘরের বাইরে রাখার ব্যবস্থা করতে পারলে সবচাইতে ভালো।
এই সময়ে বারবার করে বলা হচ্ছে ঘর কে যতটা খোলামেলা রাখা যায় সেদিকে দেখতে। ঘরের সব জানালা গুলো খুলে রাখতে পারেন। জানালার সামনে হাওয়া গার্ড করে কিছু যেন না থাকে। কোনো আলমারি বা অন্য কোনো আসবাব যদি হাওয়া আটকে রাখে ঘরের, তাহলে সেগুলোকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন।
আরও পড়ুন : মন থাকবে সতেজ, বাড়ির বাগানে সহজেই হবে এই সব ফল
ঘরের সমস্ত আসবাবপত্রই স্যানিটাইজ করা যায়। বিশেষ করে ল্যামিনেশন করা আসবাব। তবে ভিনিয়ার দেওয়া থাকলে স্যানিটাইজ করার স্প্রে সাবধানে ব্যবহার করবেন। ভিনিয়ারের উপরে ল্যাকার বা মেলামাইন সরাসরি ব্যবহার করলে অসুবিধে হয় না। তবে ভিনিয়ার, শুধু পালিশ করা থাকলে স্যানিটাইজার ব্যবহারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত যত্নবান হবেন। সরাসরি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আসবাবে দাগ থেকে যেতে পারে। রান্নাঘরে কিম্বা কোনওরকম ওভেন বা আগুন জ্বলছে বা গরম তাপমাত্রা রয়েছে, এমন জায়গায় স্যানিটাইজারবা অক্সিজেন সিলিন্ডার রাখবেন না।
আরও পড়ুন: এই সব উপায়ে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন বইঘর
এই আনলকের দিনগুলো কিম্বা অনভ্যস্ত জনজীবনের দিনগুলোয় মানিয়ে নেওয়াটাই আসল ব্যপার। অন্দরসজ্জার ক্ষেত্রেও এটা জরুরি। এই একঘেঁয়েমির দিনগুলোতে আসবাবপত্র নিয়ে কিছুটা পরীক্ষা করা যেতে পারে, কিংবা ফটো ফ্রেম, ডাইনিং টেবিলের জায়গা পালটানো বা সোফা সেটের দিক পরিবর্তন। যেটুকু নিজেদের হাতে করা সম্ভব, সেটুকুই করা। দেখবেন মনটাই ভাল হয়ে উঠবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy