অন্দরসজ্জায় নকশা প্রাচীন আমলের শিল্পকর্ম। কয়েকশো বছরের ইতিহাস পড়লে দেখা যায় প্রধানত মার্বেল পাথরের উপরে নকশা জনপ্রিয় ছিল। স্যান্ড স্টোনের উপরেও কিছু নকশার কাজ পরবর্তীতে জনপ্রিয় হয়েছে। পাথরে জাফরির কাজ খুবই সূক্ষ্ম, যা অসাধারণ শিল্পকলার নিদর্শন। পাথরে নকশার শিল্পকলা ঠিক কোথা থেকে এসেছে জানা যায় না। তবে এক সময় মধ্য এশিয়া, পারস্য এ সমস্ত দেশে পাথরের উপরে নকশার প্রয়োগ ছিল। রাজস্থানের নানা দুর্গের শিল্পকলায় নকশা ফুটে উঠেছে তেমন মুঘল আমলেও পাথরের উপরে নকশার ব্যবহার আমাদের মুগ্ধ করেছে।
আসবাবপত্রে নকশাও প্রাচীন আর্ট। গথিক শিল্পরীতির পরপরই প্রবেশ করে ভিক্টোরিয়ান স্টাইলের বা ভিক্টোরিয়ান শিল্পরীতি।আসবাবে তৎকালীন সময়ের বিপ্লবও বলা যেতে পারে। আসবাবপত্রে বাটালির কাজ, কার্বিং ডিজাইন, চেয়ারের পায়ার কার্বিং ডিজাইন, খাট থেকে শুরু করে বাকি আসবাবে সূক্ষ্মতার ছোঁয়া।
আরও পড়ুন: অন্দরসজ্জার রকমফেরে বৈঠকখানাই হয়ে উঠুক আপনার সাধের গানঘর
আগে এক একটা আসবাব বানানো হত বেশ কিছু দিন ধরে। মেহগনি, আবলুশ, সেগুন এ সমস্ত কাঠের উপরে খুব সূক্ষ্মভাবে চলত বাটালি। কাঠের উপরে ফুটে উঠত নানা নকশা। প্রাচীন আমলের পালঙ্ক থেকে অন্যান্য আসবাব যাঁরা দেখেছেন, তারাই বুঝতে পারবেন। বাটালির সূক্ষ্ম কাজ করা খাটের দাম প্রচুর। কাঠের নকশার কাজ করে তার উপর প্রাকৃতিক পালিশ করা হত। আসবাবে সূক্ষ্মতা এবং নকশার কাজের কথা ইতিহাস দেখে জানতে পারি।
ভিতর থেকে আলো আঁধারির খেলার মাধ্যমে সাজিয়ে তোলা যায়।
প্যানেলিং এ ব্যবহার করা হয় নানা নকশার ছবি। ল্যামিনেটে এখন থ্রিডি থেকে শুরু করে আকর্ষণীয় নানা ডিজাইন উঠে আসছে নকশায়। ল্যামিনেট বাদ দিয়েও ভিনাইল বোর্ডেও নকশার কাজ করা যায়। পিলার, সিলিং বা আসবাবের কিছু অংশে প্লাই, তার উপরে ল্যামিনেট বা ভিনিয়ার দিয়ে ডিজাইন কিংবা স্টিল, আক্রেলিক শিট দিয়ে নকশার কাজ করিয়ে লাগানো যায়। আলো-আঁধারির খেলায় নকশার কাজ স্বপ্নের সৃষ্টি করে। ফলস সিলিংয়ে জিপসাম বোর্ডের উপরে নানা নকশা বা জাফরির কাজ তুলে আনা যায়।
আরও পড়ুন: বই পড়া, আলসেমি, নস্টালজিয়ার সঙ্গী থাকুক ‘ইজিচেয়ার’
এমনিতে স্তম্ভ বা পিলার হচ্ছে অন্দরসজ্জার অন্যতম স্থান। বিশেষ করে, ঘরের মধ্যে যে স্তম্ভ বা খিলান থাকে। তা সাজিয়ে তোলা খুবই কঠিন। পিলারের উপরে ফ্রেমিং করে প্লাই লাগিয়ে তারপর ল্যামিনেট, ভিনিয়ার কিংবা স্টিলের জাফরির কাজ করে পিলারে লাগিয়ে, এবং ভিতর থেকে আলো আঁধারির খেলার মাধ্যমে সাজিয়ে তোলা যায়।
আসবাব কিংবা বাড়ির অন্দরসজ্জায় নকশার ব্যবহার বেশ পুরনো। কাঠের উপরে খোদাই করে নকশার কাজ করা হয়, সেটা বেশ খরচ সাপেক্ষ। একটা খাটে বাটালির নকশার কাজ করা হলে তার খরচ দাঁড়ায় লক্ষ টাকার উপর। এই খরচ শুধুমাত্র শ্রমমূল্য। সঙ্গে মজুরিও জুড়বে। সুতরাং কাঠে নকশা করতে গেলে অনেকটা খরচ হতে পারে সেটা মাথায় রাখতে হবে। এ বার পুজোয় নকশা বদলে অন্দরকে অন্যরকমভাবে দেখতে চান?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy