Advertisement

Associate Partner

Style Partner

Associate Partner

Weddings Partner

Food Partner

Rabindrasangeet

ছাদে বড় টবে শিউলি এবং স্থলপদ্ম গাছ লাগিয়েছিলাম গত বছর, পুজোয় কুঁড়ি ধরেছে

পুজো মানে নতুন গান। পুজো মানে দেশ-বিদেশে গানের একাধিক অনুষ্ঠান।

আমাদের উপার্জনের অন্যতম জায়গা ছিল এই সব মঞ্চে গান-বাজনা। ফলে শিল্পীদের বেঁচে থাকার জন্য যে অর্থ প্রয়োজন, তার রাস্তা এক রকম বন্ধ।

আমাদের উপার্জনের অন্যতম জায়গা ছিল এই সব মঞ্চে গান-বাজনা। ফলে শিল্পীদের বেঁচে থাকার জন্য যে অর্থ প্রয়োজন, তার রাস্তা এক রকম বন্ধ।

জয়তী চক্রবর্তী
জয়তী চক্রবর্তী
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২১ ১৪:৫২
Share: Save:

পুজো মানে তো অনেকগুলো আনন্দ এক সঙ্গে এসে পড়া। এই আনন্দের মধ্যে রয়েছে নতুন গান, নতুন পোশাক, প্যান্ডেলে গিয়ে প্রতিমাদর্শন, অঞ্জলি, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দেখা হওয়ার মতো বিষয়। তবে এই সব কিছুর সঙ্গে পুজোর গান আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুজো মানে নতুন গান। পুজো মানে দেশ-বিদেশে গানের একাধিক অনুষ্ঠান। পুজো মানে ইন্টারনেটের পরিসরে অনেক নতুন গানের মুক্তিও।

দীর্ঘ দিন ধরে প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল। এখনও সে ভাবে তা চালু হয়নি। আমাদের উপার্জনের অন্যতম জায়গা ছিল এই সব মঞ্চে গান-বাজনা। ফলে শিল্পীদের বেঁচে থাকার জন্য যে অর্থ প্রয়োজন, তার রাস্তা এক রকম বন্ধ। পুজোর সময় এমন বহু অনুষ্ঠান হত। দেশে-বিদেশে। এখন সে সব মনে পড়ে।

পুজোর সময় আরও একটা বিষয়ের দিকে নজর থাকে। সেটা হল ডিজিটাল মিডিয়ায় নতুন গানের মুক্তি। আসলে সিডি তৈরির যুগ শেষ হওয়ার পর এই সময়টির দিকে বিশেষ ভাবে তাকিয়ে থাকি। পুজোর সময় একটা ‘সিঙ্গল’ হবে এই আশা থাকে। আজকের এই সব ‘সিঙ্গল’ ভীষণ ‘ভিউ’ সম্বন্ধীয়। অর্থাৎ, কত মানুষ সেই গান দেখছেন বা শুনছেন, তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। কোভিড সেখানেও থাবা বসিয়েছে।

গত বছর কোভিডের কারণে আমাদের ভাবনাচিন্তার প্রচলিত ধাঁচাটা কেমন বদলে গেল। মানুষের বেঁচে থাকা, তার জন্য লড়াই এত বড় ভূমিকা নিতে থাকল যে বিনোদনের জন্য মানুষের ভাবনাচিন্তা করার সময় রইল না। অর্থাৎ ইন্টারনেটের কোনও পরিসরে গান প্রকাশিত হলে যে মানুষ শুনবেন, ‘ভিউ’ বাড়বে, এমন আশা কমে আসছিল। এর মধ্যে কাজ করে চলেছি। কারণ কাজ গতিময় করে তোলে আমায়। বহু শিল্পীর অনেক গান এর মধ্যেই মুক্তি পেয়েছে বা পাচ্ছে। আমারও কিছু গান রয়েছে।

কাজ গতিময় করে তোলে আমায়।

কাজ গতিময় করে তোলে আমায়।

তবে দিনের শেষে আমি আশাবাদী। এ বছর পরিস্থিতি কিছুটা হলেও বদলেছে। মানুষও পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে কিছুটা মানিয়ে নিচ্ছেন। ক্ষীণ হলেও সুড়ঙ্গের শেষে একটা আশার আলো হয়তো দেখতে পাচ্ছি। দু’বছর কষ্ট করে পার করে দিয়েছি, ফলে বাকিটা পারব। মনে হচ্ছে জীবন ধীরে ধীরে আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে। তাই এ বছরের দুর্গাপুজো গত বছরের থেকে কিছুটা আলাদা হতে চলেছে।

পুজোয় বাইরে কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা নেই। অষ্টমীতে মুম্বইয়ে একটা অনুষ্ঠান আছে। অষ্টমীর অনুষ্ঠানের পর নবমীতে ফেরা।

আসলে পুজোয় ঢাকের শব্দ, কাঁসর-ঘণ্টার শব্দ, মণ্ডপে গিয়ে প্রতিমার সামনে দু’দণ্ড বসে থাকা— এ সব আমাকে টানে। গত বছর তেমন ভাবে মণ্ডপে যাওয়া হয়নি। এ বার হয়তো অল্প অল্প সব করতে পারব। তবে আমি নিজে মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে মণ্ডপে যাব। অনুরোধ করব, আপনারাও কোভিডবিধি মেনে চলবেন।

বাড়ির ছাদে দু’টো বড় টবে একটা শিউলি গাছ এবং একটি স্থলপদ্ম গাছ লাগিয়েছিলাম গত বছর। এ বছর দু’টো গাছেই কুঁড়ি ধরেছে। মা আসছেন। হয়তো এ বার দুর্যোগ শেষ হতে চলেছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Rabindrasangeet Singer Durga Puja 2021
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy