জাকিউর রহমান লকভি
লস্কর নেতা জাকিউর রহমান লকভির জামিনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করার কথা তড়িঘড়ি ঘোষণা করেছিল পাক সরকার। সময়মতো বিষয়টি নিয়ে আদালতে আবেদন করতে পারল না নওয়াজ শরিফের সরকার।
ইসলামাবাদের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত গত বুধবার মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী, লস্কর নেতা লকভির জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে। তার আগের দিনই পেশোয়ারের স্কুলে শ’দেড়েক শিশুকে খুন করে তালিবান। তার পরই লকভির জামিন মঞ্জুর হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়ে পাক সরকার। তাকে তিন মাস আটক রাখার সিদ্ধান্ত হয়। আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে যাওয়ার কথাও বলে তারা। আজই সেই আর্জি জানানোর দিন ছিল। কিন্তু সরকারি কৌঁসুলিদের অন্যতম চৌধুরি আজহার বলেন, “রায়ের প্রতিলিপি পেতে সমস্যা হচ্ছে। জানি না আগামী কাল হাইকোর্টে আর্জি জানাতে পারব কি না। প্রতিলিপি হাতে পাওয়ার পরে সেটি পড়ে আবেদন করতে হবে।” কবে সরকারি ভাবে লকভির জামিনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করা হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
এর মধ্যেই লকভির কৌঁসুলি রাজা রিজওয়ান আব্বাসি জানিয়েছেন, পাক বিচারবিভাগীয় কমিশনের রেকর্ডকে ২৬/১১-র হামলার তথ্যপ্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করার যে সিদ্ধান্ত দায়রা আদালত নেয়, সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেছেন তাঁরা। লকভির এই আবেদন শুনতে দুই সদস্যের একটি বেঞ্চ তৈরির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে শুনানির দিন এখনও ধার্য হয়নি।
হাইকোর্টে আবেদন জানানো নিয়ে গড়িমসির দিনই পাক সরকার জানিয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৫৫ জন জঙ্গিকে ফাঁসি দেওয়া হবে। পেশোয়ারের স্কুলে তালিবানি হত্যালীলার পরের দিনই মৃতুদণ্ডে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তার পর গত এক সপ্তাহে ছয় জঙ্গির ফাঁসি হয়েছে। পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের এক আধিকারিক আজ জানান, ২০০৮ থেকে প্রায় ৫০০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডের সিদ্ধান্ত ঝুলে ছিল। ফাঁসির উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তই তখন নিতে পারেননি। কিন্তু সম্প্রতি তার মধ্যে ৫৫ জনের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট মামনুন হোসেন।