আর চার দিন বাদেই শান্তি বৈঠক বসার কথা জেনিভায়। তার ঠিক আগেই রক্তাক্ত পূর্ব ইউক্রেন। আজ সকাল থেকে দেশের পূর্ব প্রান্তে রীতিমতো সন্ত্রাস দমন অভিযানে নেমেছে কিয়েভ সরকার। আর তার ফলেই নতুন করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অভিযানে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন এক ইউক্রেনীয় পুলিশ। পাঁচ পুলিশ আহত। কিয়েভের দাবি, আজকের অভিযানে প্রাণ গিয়েছে বেশ কিছু রুশপন্থীর। তবে সেই সংখ্যাটা কত, সে নিয়ে মুখ খোলেনি কোনও পক্ষই।
ঘটনার সূত্রপাত গত কাল। পূর্ব ইউক্রেনের স্লোভিইয়ানস্ক শহরে একটি পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে রুশপন্থীদের সশস্ত্র একটি দল। শুধু স্লোভিইয়ানস্কেই নয়, কাল ক্রামাটর্স্ক, ড্রুজখোভা, মারিউপোল, ইয়ানিকিয়েভো শহরেও একের পর এক সরকারি ভবন দখল করেছে মুখোশ পরা রুশপন্থীরা। ইউক্রেনীয় পুলিশ জানাচ্ছে, স্লোভিইয়ানস্কের পুলিশ ফাঁড়িতে থাকা অজস্র আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র লুঠ করাই মূল উদ্দেশ্য ছিল ওই দলটির। এখনও পর্যন্ত সেই ফাঁড়ি রুশপন্থীদের দখলেই রয়েছে। গত কালের সেই অভিযান শান্তিপূর্ণই ছিল। ইউক্রেনীয় পুলিশ কোনও রকম ভাবে রুশপন্থীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টাও করেনি। কিন্তু ঝামেলা বাধে আজ সকাল থেকে। কিয়েভের অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশে আজ সেখানে পাল্টা অভিযান শুরু করে ইউক্রেনীয় সেনা ও পুলিশ। রুশপন্থী বিক্ষোভকারীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যাও দিয়ে দেয় অন্তর্বর্তী সরকার।
ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী আরসেন আভাকভ সকালেই ফেসবুকে জানিয়ে দেন, পূর্ব ইউক্রেনের অশান্ত শহরগুলিতে সরকার সর্বশক্তি নিয়ে সন্ত্রাস দমন অভিযান শুরু করেছে। স্লোভিইয়ানস্ক শহরের বাসিন্দাদের প্রতি তাঁর বিশেষ সতর্কবার্তা, “শহরের প্রাণকেন্দ্রে থাকবেন না। ঘরে থাকুন আর জানলা থেকে দূরে থাকুন।” ইউক্রেনীয় বাহিনী যে আক্রমণের রাস্তায় হাঁটতে চলেছে আভাকভের এই বার্তাতেই তার ইঙ্গিত ছিল।
এই পরিস্থিতিতে আগামী সপ্তাহে জেনিভায় যে শান্তি আলোচনা শুরু হওয়ার কথা, তার ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।