অন্তত ৩৬০ জন আইএস জঙ্গি ঢুকেছে বলে খবর পাওয়ার পরে বাংলাদেশের গোয়েন্দা ও র্যাব (র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন) এখন দেশজুড়ে অভিযানে নেমেছে। রবিবার রাতেই ঢাকার যাত্রাবাড়ি ও খিলখেত থেকে সন্দেহভাজন চার আইএস জঙ্গিকে গ্রেফতারের খবর দিয়েছে পুলিশ। তাদের মধ্যে বাংলাদেশে জঙ্গিদের সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা সাখায়াতুল কবিরও রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। পাকিস্তানে আইএসআইএস জঙ্গিদের শিবিরে প্রশিক্ষণ নিয়ে সে বাংলাদেশে ঢুকে সদস্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। চার জঙ্গির কাছ থেকে কিছু অস্ত্রশস্ত্র ছাড়া প্রচারের প্রচুর সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কয়েকটি কমপিউটার, প্রচুর সিডি এবং ইস্তাহারও উদ্ধার হয়েছে।
আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলির কাছ থেকে খবর এসেছে, টুঙ্গির তুরাগ নদীর তীরে ধর্মীয় সম্মেলন বিশ্ব ইজতেমার সুযোগেই পাকিস্তান হয়ে আইএস জঙ্গিরা বাংলাদেশে ঢুকেছে। গোয়েন্দাদের দাবি, নাশকতা ছাড়া দেশের শীর্ষ কয়েক জন রাজনৈতিক নেতাকে খুনের লক্ষ্যও রয়েছে জঙ্গিদের। আইএস-এর লক্ষ্য পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশ জুড়ে ‘ইসলামিক খেলাফত’ প্রতিষ্ঠা। পাকিস্তান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ভারতেও অন্তত ৬৫০ জন আইএস জঙ্গি ঢুকেছে বলে গোয়েন্দা-তথ্যে জানানো হয়েছে। ভারতকেও সেই তথ্য জানানো হয়েছে। ধৃত জঙ্গিরা জানিয়েছে, এখান থেকে সদস্য সংগ্রহ করে পাকিস্তান হয়ে সিরিয়া ও ইরাকে ঢুকে লড়াই করাও ছিল তাদের লক্ষ্য। পুলিশ জানিয়েছে, জঙ্গিদের আশ্রয় ও অর্থ জোগানের জন্যও কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে।
দু’দফায় ইজতেমার সময়ে আইএস জঙ্গিরা ঢুকতে পারে বলে আগে থেকেই সতর্কবার্তা পেয়েছিল গোয়েন্দা বিভাগ। এ জন্য এ বার বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু তার মধ্যেই অন্তত ৩৬০ জন জঙ্গি ঢুকে পড়েছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। তার পরই অভিযান শুরু হয়েছে। ধৃত ৪ জঙ্গিকে জেরা করে আরও তথ্য আদায়ের চেষ্টা চালানো হয়েছে।