জন্ম থেকেই দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত ছিলেন। যার জেরে মানসিক বৃদ্ধি স্বাভাবিক পথেই এগোলেও দৈহিক বৃদ্ধি ঘটেনি।
বয়স যত বেড়েছে, বুঝতে শিখেছেন সমাজের গঞ্জনা। বিভিন্ন বিষয়ে পরের উপর নির্ভরতা তাঁর অবসাদের কারণ হয়ে উঠতে শুরু করেছিল। সেই অবসাদ থেকে মুক্তি পেতে, বা বলা ভাল আত্মনির্ভর হয়ে উঠতে কঠিন এক পথে হাঁটলেন ক্রিস্টেন ডিঅ্যান্ড্রাদে।
ক্রিস্টেন এক জন পেশাদার যোগ প্রশিক্ষক। যোগ অনুশীলন করাতে দৈহিক গঠন কখনও তাঁর পেশার অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়নি। কিন্তু অনেক কাজেই বাধার সৃষ্টি করছিল।
ঘরের আলো-পাখা ঠিক করতে, ছোটবেলায় ক্লাসে বসার আসনে উঠতে সমস্যায় পড়তে হত তাঁকে। তাঁর জন্য শ্রেণিকক্ষে আলাদা বসার ব্যবস্থা করা থাকত। উচ্চতা না বাড়ায় ছোটবেলার সেই সমস্যাগুলো রয়েই গিয়েছিল।
যত দিন গিয়েছে ততই ক্রিস্টেন নিজের উচ্চতা বাড়ানোর স্বপ্ন দেখতে শুরু করছিলেন। সেই ১৯৯৮ সাল থেকেই উচ্চতা বাড়ানোর স্বপ্ন দেখছিলেন তিনি।
সম্প্রতি স্বপ্ন পূরণ করলেন ক্রিস্টেন। নিজের উচ্চতা ১৩ ইঞ্চি বাড়িয়ে নিলেন। তিন ফুট নয় ইঞ্চির ক্রিস্টেনের উচ্চতা এখন পাঁচ ফুট।
ক্রিস্টেন যে রোগে আক্রান্ত তার নাম অ্যাকনড্রোপ্ল্যাসিয়া। এই রোগে হাত এবং পায়ের হাড়ের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। এখন তাঁর বয়স ৩৬ বছর।
হাত এবং পায়ের জটিল অস্ত্রোপচার করিয়ে নিজের উচ্চতা বাড়িয়ে নিয়েছেন তিনি। কী ভাবে হয়েছে এই অস্ত্রোপচার?
হাত এবং পায়ের হাড়ের নির্দিষ্ট অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে প্রথমে। তার পর দুই টুকরোর মাঝে স্টিলের রড ঢুকিয়ে স্ক্রু দিয়ে সেটিকে লাগিয়ে দেওয়া হয়। পা এবং হাতে দুই অংশেই একই পদ্ধতির প্রয়োগ করা হয়।
উচ্চতা বাড়ানোর পর আবার বামনরা তাঁকে ব্যঙ্গ করা শুরু করেছেন। নিজের শরীরকে ভাল না বাসার জন্য সমালোচনার শিকার হতে হয় তাঁকে। তবে সে সবে পাত্তা দিতে চান না ক্রিস্টেন। ক্রিস্টেনের মতে, নিজের চেহারার প্রতি ঘৃণা থেকে নয়, আত্মনির্ভর হতেই উচ্চতা বাড়িয়েছেন তিনি।