চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। ছবি রয়টার্স।
রুণাচলপ্রদেশ সীমান্ত লাগোয়া তিব্বতের নিংচি ঘুরে গেলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। বুধবার দক্ষিণ-পূর্ব তিব্বতের এই শহরের বিমানবন্দরে পা রাখলেও আজই প্রথম তাঁর তিব্বত সফর নিয়ে মুখ খুলেছে চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম।
গত তিন দশকে এই প্রথম কোনও চিনা প্রেসিডেন্ট তিব্বত সফরে গেলেন। চিনফিং এর আগে দু’বার তিব্বতে গিয়েছেন। ১৯৯৮ সাল ও ২০১১ সালে। কিন্তু তখনও দেশের প্রেসিডেন্ট হননি তিনি। ১৯৯০ সালে তৎকালীন চিনা প্রেসিডেন্ট জিয়াং জেমিন শেষ বার তিব্বত সফরে গিয়েছিলেন। কিন্তু কৌশলগত অবস্থানের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই তিব্বতি শহরে প্রেসিডেন্টের সফরের সময় জাতীয় সংবাদমাধ্যম কেন নীরব ছিল, সেই প্রশ্ন উঠছে।
চিনের সরকারি চ্যানেল সিসিটিভি-র ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, নিংচিতে বসবাসকারী বিভিন্ন জনজাতির মানুষ রং-বেরঙের পোশাক পরে চিনের জাতীয় পতাকা হাতে হাসি মুখে প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানাচ্ছেন। ভিডিয়োয় লাল কার্পেটে হাঁটতে দেখা গিয়েছে চিনফিংকে। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যদের অভ্যর্থনা নেওয়ার পরে প্রথমে নিয়াং নদীর সেতু পরিদর্শনে যান প্রেসিডেন্ট। ইয়ারলাং-সাংপো এবং নিয়াং নদী সংলগ্ন এলাকার বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশগত সুরক্ষা নিয়ে সেখানকার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। নিংচি স্টেশনেও যান। ‘নিংচি সিটি প্ল্যানিং মিউজ়িয়াম’ও ঘুরে দেখেন চিনফিং।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনের সরকারের বিরুদ্ধে তিব্বতের বাসিন্দাদের একাংশের যে বিপুল ক্ষোভ রয়েছে, উন্নয়নের মাধ্যমেই তা প্রশমিত করার চেষ্টা করছে বেজিং। চিনা প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক তিব্বত সফরের মূল লক্ষ্যও সেটাই ছিল বলে ধারণা। তিব্বতে চিনফিংয়ের এই হঠাৎ আগমন নিয়ে মুখ খুলেছে তিব্বতের নির্বাসিত সরকারও। তাদের প্রতিনিধি তেনজ়িন লেক্ষয়ের মতে, তিব্বতে যে সব কিছু ঠিক রয়েছে, তা গোটা বিশ্বের সামনে জোর করে প্রমাণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে চিন। এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরও জানান, তিব্বতের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার দিকেও নজর রাখতে হবে বেজিংকে। তিব্বতি ধর্মীয় গুরু দলাই লামার সঙ্গেও বেজিংকে শান্তিপূর্ণ আলোচনায় বসতে আহ্বান জানিয়েছেন তেনজ়িন।