ফাইল চিত্র।
বৈঠকে বসতে সম্মত হলেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এ বছর শেষ হওয়ার আগেই ভার্চুয়াল বৈঠকে বসবে দু’পক্ষ।
আজ বৈঠকে বসেছিলেন বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান এবং চিনের এক শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক, ইয়াং জিয়েচি। সুইৎজারল্যান্ডে দু’জনের সাক্ষাৎ হয়। প্রায় ছ’ঘণ্টা ধরে চলে কথাবার্তা। বিভিন্ন বিষয়ে দু’দেশের সহযোগিতা ও মতানৈক্য নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, ২০২১ সাল শেষ হওয়ার আগে ভার্চুয়ালি মুখোমুখি বসবেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।
এ দিনের আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল তাইওয়ান। গত সপ্তাহে তাইওয়ানের আকাশসীমায় রেকর্ড-সংখ্যক যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছিল চিন। বিষয়টিকে মোটেই ভাল চোখে দেখেনি আমেরিকা। চিনের এই পদক্ষেপে রীতিমতো অচলাবস্থার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আমেরিকার বিদেশ সচিব টনি ব্লিঙ্কেন। বৈঠকে সেই প্রসঙ্গও ওঠে। তবে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল, দু’দেশের কূটনৈতিক যোগাযোগ বৃদ্ধি, অপ্রয়োজনীয় ভুল বোঝাবুঝি কমানো। এই উদ্দেশ্য পূরণেই দু’দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, শি ও বাইডেনের বৈঠকের পরিকল্পনা সেরে ফেলা। তা ছাড়া দু’দেশের মধ্যে চলা বাণিজ্য-যুদ্ধও মেটাতে চায় তারা। সম্প্রতি আমেরিকার বাণিজ্য বিষয়ক প্রতিনিধি ক্যাথরিন টাই-ও জানিয়েছেন, খুব শিগগিরি চিনের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘বাণিজ্য সংক্রান্ত বিবাদে যে উত্তেজক পরিস্থিতি তৈরি হয়ে রয়েছে, তা শেষ হওয়া দরকার।’’
বহু বছর আগে শি ও বাইডেন দু’জনেই যখন নিজেদের দেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন, চিন ও আমেরিকার মধ্যে সৎ-সম্পর্ক স্থাপনের প্রতিশ্রুতির কথা বলেছিলেন তাঁরা। বাইডেনের নেতৃত্বে বর্তমান আমেরিকান প্রশাসনের বক্তব্য, ‘‘দুই দেশের মধ্যে যে গভীর প্রতিযোগিতা চলছে... তাতে কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানো প্রয়োজন।’’ ও দিকে, চিনের সরকারি সংবাদ সংস্থায় বলা হয়েছে, ‘‘চিন ও আমেরিকা যদি একে অপরকে সহযোগিতা করে, তাতে দুই
দেশেরই লাভ হবে। গোটা বিশ্বেরই উপকার হবে।’’
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি আজ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘পুরো বিষয়টি নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। কবে, কখন দুই রাষ্ট্রপ্রধানের সাক্ষাৎ হবে, তা এখনও স্থির হয়নি।’’