প্রতীকী চিত্র।
অদ্ভুত এক সমস্যা নিয়ে নেটাগরিকদের দ্বারস্থ হয়েছেন এক মহিলা। দাবি, তাঁর স্বামীর প্রতি আসক্ত তাঁরই দিদি। আর তাই তাঁর পরিবার চায় না তিনি স্বামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন।
পরিবারের যুক্তি, তাঁদের স্বামী-স্ত্রীর মতো আচরণ করতে দেখে দিদি মনে আঘাত পেতে পারেন। তাই দিদির প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েই বোনের এ ব্যাপারে কিছুটা সংযমী এবং সংবেদনশীল হওয়া উচিত।
নেটমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, পরিবারের অনুরোধে এবং দিদির আঘাত লাগতে পারে এই ভয়ে বাধ্য হয়েই সবার সামনে সব সময় স্বামীর সঙ্গে দূরত্ব রেখে চলতে হয় তাঁকে। ভুল করে যদি তাঁরা কাছাকাছি এসেও পড়েন, তা হলেই পরিবারের সদস্যরা তাঁকে দোষারোপ করতে শুরু করেন।
আমেরিকার বাসিন্দা ওই মহিলার নাম মারা। তাঁর দিদির নাম প্যাটি। মারা জানিয়েছেন, প্যাটি তাঁর তুতো বোন। মারার বাবা-মা তাঁকে দত্তক নিয়েছিলেন। তবে প্যাটি যে তাঁর স্বামী শ্যামকে স্কুলজীবনে পছন্দ করতেন, তা জানতেন মারা। কিন্তু তিনি এ-ও জানতেন যে তাঁর শ্যাম কোনওদিন ভালবাসেননি প্যাটিকে। নেটাগরিকদের মারা জানিয়েছেন, স্কুলে পড়ার ১০ বছর পর শ্যামের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক হয়। তিনি ভাবতেও পারেননি, এতগুলো বছর পরও প্যাটি তাঁর স্বামীর প্রতি নিজের ভাল লাগাকে লালন করে রেখেছেন।
এই পরিস্থিতিতে মারা নেটমাধ্যমে জানতে চেয়েছেন, তাঁর কী করা উচিত!
জবাবে নেটাগরিকরা অবশ্য মারার পক্ষেই রায় দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, মারার পরিবারই এখানে মূল দোষী। তাঁরাই প্যাটির আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে তাঁকে প্রশ্রয় দিয়েছেন। যার ফল ভুগতে হচ্ছে মারা এবং তাঁর স্বামীকে।