স্বামীর পরকীয়াকে সেরা উপহার বলে মেনে নিয়েছেন তরুণী। প্রতীকী ছবি।
স্বামীর পরকীয়াকে জীবনের সেরা উপহার বলে মনে করছেন স্ত্রী। সংবাদমাধ্যমের কাছে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ওই পরকীয়ার কথা জানতে পারার পর থেকেই তাঁর জীবন একেবারে বদলে যায়। নিজের সম্বন্ধেই অনেক নতুন তথ্য আবিষ্কার করেছেন তিনি।
আমেরিকার দম্পতি ম্যাট এবং চ্যারিটি। ছোটবেলা থেকেই তাঁরা একে অপরকে চিনতেন। বন্ধুত্ব ক্রমে প্রেমে পরিণত হয়। ২০০৪ সালে তাঁরা যখন বিয়ে করেন, দু’জনের বয়স ছিল যথাক্রমে ২৫ এবং ২১।
দীর্ঘ ৮ বছর সংসার করার পর হঠাৎ তাল কাটে। ২০১২ সাল নাগাদ চ্যারিটি জানতে পারেন, তাঁর স্বামী অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। এমনকি, মোবাইলে তাঁদের গোপন কথোপকথনও দেখে ফেলেন তিনি। সংসারে তুমুল অশান্তি হয়। দম্পতি আলাদা থাকতে শুরু করেন।
প্রায় এক বছর আলাদা থাকার পর বিবাহ বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু করছিলেন ম্যাট এবং চ্যারিটি। এই এক বছরে মানসিক অবসাদ এবং অসুস্থতায় ভুগেছেন তরুণী। পরে তাঁরা দু’জনেই উপলব্ধি করেন, ভাল থাকার জন্য তাঁদের পরস্পরকে প্রয়োজন। আলোচনার মাধ্যমে যাবতীয় সমস্যার সমাধান করে ফেলেন দম্পতি। পরকীয়া সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসেন যুবকও। নতুন উদ্যমে নিজেদের জীবন তাঁরা গুছিয়ে নিতে পেরেছেন। তার পর দু’জনেরই উপলব্ধি, বিচ্ছেদের এই একটি বছর তাঁদের জীবনে কত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই বছর না এলে নিজেদের জীবনে তাঁরা একে অপরের গুরুত্ব বুঝতে পারতেন না।
২০১২ সালে সম্পর্কে ভাঙনের পর ২০১৩ সালের প্রেমদিবস একসঙ্গে কাটিয়েছিলেন ম্যাট, চ্যারিটি। তাঁদের সম্পর্কের বাঁধন আরও দৃঢ় হয়েছে। বর্তমানে বিবাহিত দম্পতিদের পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করেন চ্যারিটি। বিবাহিত সম্পর্কে ভাঙন ঠেকাতে তিনি তাঁদের সাহায্য করেন।