এই সেলফিই জেরেই নিজের জন্মপরিচয় জানতে পারলেন মিশে। ছবি টুইটার থেকে সংগৃহীত।
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে থাকেন ২১ বছরের মিশে সলোমন। কাসিদি নার্স নামে তাঁর স্কুলের এক বন্ধুর সঙ্গে সেলফি তুলেছিলেন তিনি। সেই সেলফিতে দু’জনের মুখের আশ্চর্য মিল ছিল। যা তাঁদের বন্ধুত্বকে আরও গাঢ় করেছিল। সেই সেলফির জেরেই নিজের জন্মপরিচয় জানতে পারলেন মিশে। জানলেন জন্মের পর তাঁকে চুরি করা হয়েছিল হাসপাতাল থেকে।
মিশের সঙ্গে তোলা সেই সেলফি নিজের মা-বাবাকে সম্প্রতি দেখিয়েছিলেন কাসিদি নার্স। নিজের মেয়ের সঙ্গে মিশের মুখের মিল দেখে চমকে গিয়েছিলেন তাঁরাও। তখন কাদিসির মা কেলেসে ও বাবা মর্ন নার্স মিশের জন্মদিনের ব্যাপারে জানতে চান। মর্ন দেখা করেন মিশের সঙ্গে। শোনেন তাঁর জন্মদিনের ব্যাপারে। তা শুনে নিজের অনুমানের কথা পুলিশকে জানিয়েছিলেন মর্ন। এই ঘটনার পরই মিশেকে ডেকে পাঠায় পুলিশ। সেখানে গিয়ে ২১ বছরের যুবতী জানতে পারলেন নিজের আসল পরিচয়।
এই ঘটনার পর মিশে জানতে পারেন, লাভোনা সোলোমন, যাঁর কাছে তিনি বড় হয়ে উঠেছেন তিনি তাঁর জন্মদাত্রী মা নন। জন্মের সময় মিশের নাম ছিল জেফানি নার্স। ১৯৯৭-এ কেপটাউনের গ্রোটে স্কার হাসপাতাল থেকে চুরি হয়ে যায় সে। এরপর ডিএনএ পরীক্ষা করতেই জানা যায়, কেলেসে ও মর্ন নার্সের সন্তান তিনি। আর কাদিসি তাঁর বোন।
এর পর সন্তান চুরির জন্য লাভোনা সোলোমনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি মিশেকে ওই হাসপাতাল থেকে চুরি করে মানুষ করছিলেন। কারণ, গর্ভবস্থার সময় তাঁর সন্তান নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। যদিও মিশের বায়োলজিক্যাল পেরেন্ট কেলেসে ও মর্ন নার্স নিজেদের প্রথম সন্তানকে খুঁজে পাওয়ার আশা ছাড়েননি। প্রতি বছর তাঁরা জন্মদিনও পালন করতেন। কিন্তু জানতেন না, তাঁদের হারিয়ে যাওয়া মেয়ে বড় হচ্ছিল পাঁচ কিলোমিটার দূরেই!
২১ বছর পর নিজেদের মেয়েকে ফিরে পেলেন নার্স দম্পতি। ছবি- এপি।
আরও পড়ুন: ‘গ্রেট জব’, বাগদাদিকে সুড়ঙ্গে তাড়া করেছিল এই সারমেয়, জানালেন ট্রাম্প
আরও পড়ুন: ওসামা বিন লাদেনের মতো সমুদ্রে সমাধি দেওয়া হল আইএস প্রধান বাগদাদির দেহাংশ