—ফাইল চিত্র।
তারকার প্রতি মোহ স্বাভাবিক। কারণ তারকাকে চাইলেই ছোঁয়া যায় না। তাঁরা থাকেন নাগালের বাইরে। দূর থেকে বোনেন আকর্ষণের মায়াজাল। সেই জালেই পা জড়িয়ে এখন আফশোস করছেন এক যুবতী।
সিনেমার দুনিয়াতে কাজের সূত্রেই যাতায়াত। কখনও অ্যামেচার শিল্পী হিসাবে অভিনয়ের সুযোগ মিলত। কখনও কাজ মিলত সিনেমা তৈরির বিভাগে। পরিচালকের সহকারী হিসাবে কাজ করতেন। বছর খানেক আগে অনলাইনে এক সিনেমা তারকার সঙ্গে আলাপ। সেখান থেকেই প্রেম। সেই প্রেম এতদূর গড়িয়েছিল যে বছর না ঘুরতেই স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছিলেন তিনি। কিছু দিনের মধ্যেই অবশ্য পর্দা সরল। যুবতী জানতে পারলেন পুরোটাই জালিয়াতি। না বুঝে প্রতারকের ফাঁদে পড়েছেন তিনি। কিন্তু এখন আর কিছু বদলানোর উপায় নেই।
ওই মহিলার নাম ম্যাককালা। ইউটিউবে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’ সিরিজে বিলি হারগ্রোভের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন যে অভিনেতা, তাঁর নাম করেই ওই প্রতারক যোগাযোগ করেন তাঁর সঙ্গে। অনলাইনে দিনের পর দিন চলতে থাকে দু’জনের কথাবার্তা। বাড়ে ঘনিষ্ঠতা। প্রায় এক বছর পর ম্যাককালা এবং ওই প্রতারক দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন। তার পরেই ধীরে ধীরে প্রকাশ হতে থাকে সত্য।
মহিলা জানিয়েছেন, ওই প্রতারক তাঁকে বলেছিলেন, যেহেতু তিনি একজন তারকা, তাই এই সম্পর্কের কথা যেন ম্যাককালা গোপন রাখেন। তারকা প্রেমিককে হাজার হাজার ডলার খরচ করে উপহারও পাঠাতেন মহিলা। বিনা বাক্যব্যয়ে সে সব উপহার নিতেন ওই প্রতারক। এমনকি, একটা সময়ে তিনি ওই মহিলার কাছে অর্থও চান। যুক্তি হিসাবে বলেছিলেন, ‘‘তাঁর আর্থিক বিষয় দেখা শোনা করেন তাঁর বান্ধবী।’’ তবে এখানেই শেষ হয়নি প্রতারণা। এর পর ওই প্রতারক ম্যাককালাকে বলেন, হয় তিনি তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে থাকুন নয়তো স্বামীর সঙ্গে। ম্যাককালাকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য করেন প্রতারক। তিনিও বিনা বাক্য ব্যয়ে স্বামী লিভ পোলকের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করেন।
কিন্তু তারকা প্রেমিক এরপরও নানা বাহানায় মাসের পর মাস তাঁর সঙ্গে দেখা না করায়, সন্দেহ হয় যুবতীর। ধীরে ধীরে তিনি বুঝতে পারেন, গত এক বছরের বেশি সময় ধরে তিনি এক মিথ্যের পিছনে দৌড়ে বেড়াচ্ছিলেন। প্রতারকের সঙ্গে এর পর সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেন ম্যাককালা। ইউটিউবের ভিডিয়োয় তিনি জানিয়েছেন, মানুষ ভালবেসে কত পাগলামিই না করে। এখন বুঝতে পারছি আমি, ওই প্রতারক আমার দুর্বল চিত্তের সুযোগ নিয়েছিল।