ছবি : সংগৃহীত।
আফগানিস্তান দখলের পর মঙ্গলবার প্রথম সাংবাদিক বৈঠক করল তালিবান। বৈঠক করলেন তালিবান মুখপাত্র যাবিউল্লাহ মুজাহিদ। তিনি বললেন, ‘‘তালিবান শাসনে মহিলাদের কাজ করার অধিকার দেওয়া হবে। তাঁরা কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে পারবেন। তবে সবই হবে ইসলামিক আইন মেনে। ইসলামিক আইন মেনে মহিলাদের অধিকার রক্ষা করা হবে। মহিলারা তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে আগামী দিনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন। কিন্তু শরিয়তি আইনের বাইরে গিয়ে কিছুই হবে না।’’
মহিলাদের অধিকারের প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘আজ থেকে ২০ বছর আগে পৃথিবীটা যেমন ছিল, আজ আর তেমন নেই। অনেক কিছু বদল হয়েছে। আপাতত আইনটি তৈরি হোক, তারপর আলোচনা করা যাবে।’’ মঙ্গলবারই তালিবানের সাংস্কৃতিক শাখার প্রধান জানিয়েছিলেন, প্রশাসন ও সরকারে মহিলাদের উপস্থিতি চায় তালিবান। তিনি বলেছিলেন, ‘‘শরিয়তি আইন মেনে প্রশাসনে ও সরকারি কাজে মহিলাদের অংশগ্রহণকে প্রাধান্য দেবে তালিবান।’’ যদিও সরকারি স্তরে কোনও বক্তব্য মঙ্গলবারের আগে মেলেনি।
তবে সাংবাদিক বৈঠকে মুখপাত্র স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আফগান ভূমিকে অন্য কোনও শক্তির সুবিধার জন্য ব্যবহার করতে দেবে না তালিবান। তাই প্রতিবেশী দেশগুলিকে তালিবানের স্পষ্ট বার্তা, ভয়ের কোনও কারণ নেই। আফগান ভূমি ব্যবহার করে কেউ প্রতিবেশী দেশের ক্ষতি করতে পারবে না। এর পাশাপাশি সাংবাদিক বৈঠক থেকে কাবুল ও আশেপাশের অংশে যতগুলি দূতাবাস রয়েছে, সেগুলিকেও রক্ষা করার কথা বলেছেন তালিবান মুখপাত্র। তিনি বলেছেন, ‘‘নিজেদের সুরক্ষার বিষয়ে তালিবান স্বাবলম্বী। দেশের ভিতরে থাকা সমস্ত আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের রক্ষা করা হবে। কোনও বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপ চাই না।’’