গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
ট্যাব-কাণ্ডে গ্রেফতার আরও এক জন। শুক্রবার গভীর রাতে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থানার রামগঞ্জের কীর্তিগছ এলাকা থেকে হুগলির শ্রীরামপুর থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম মহম্মদ হাবিবুল। বাড়ি ওই এলাকাতেই। পেশায় ট্রাক্টর চালক হাবিবুল তার অ্যাকাউন্ট এক জনকে ভাড়া দিয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রের খবর। অসুস্থতার কারণে ধৃতকে শনিবার আদালতে তুলতে পারেনি পুলিশ। শুক্রবার রাতেও চোপড়ার ঘিরনিগাঁও-সহ বেশ কিছু এলাকায় অভিযান চালিয়েছে হুগলির চন্দননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। যদিও সে অভিযানে নতুন করে কেউ গ্রেফতার হয়নি। ইসলামপুর পুলিশ জেলার সুপার জবি টমাস বলেন, ‘‘অন্য জেলার পুলিশকে আমাদের তরফে সব রকমের সহযোগিতা
করা হচ্ছে।’’
গত কয়েক দিন ধরে চোপড়া ও ইসলামপুরের বেশ কিছু এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ, সাইবার অপরাধ দমন শাখার আধিকারিকেরা এবং জেলার সিআইডি প্রতিনিধি দল। হুগলি, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, বর্ধমান-সহ বেশ কিছু এলাকার পুলিশ লাগাতার অভিযান চালিয়েছে চোপড়ার নানা এলাকায়। সূত্রের খবর, ট্যাব-কাণ্ডে মূল ‘পান্ডা’ অনুমান করে যাদের গ্রেফতার করেছে অন্য জেলার পুলিশ, তাদের বেশির ভাগই চোপড়ার ঘিরনিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির বাসিন্দা। তবে বেশির ভাগ মামলাই অন্য জেলার হওয়ায় তদন্তের কাজ পুরোটাই সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ করছে বলে সূত্রের দাবি। এই তদন্তের কাজে ইসলামপুর পুলিশ জেলা সহযোগিতা করছে।
২০১৮ সালে ঘিরনিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতেরই বাসিন্দা বাবর হুসেনকে কেরলের একটি জনকল্যাণ প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এ বার ট্যাব-কাণ্ডেও নাম জড়িয়েছে বাবরের। এখনও অধরা বাবর। শনিবারও লক্ষ্মীপুর হাই স্কুলের করণিক বাবর হুসেন কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত ছিল বলে জানা গিয়েছে। গত ১২ নভেম্বর
থেকেই বাবর স্কুলে অনুপস্থিত। ইসলামপুরের মেলার মাঠ চত্বরে বাবরের ভাড়াবাড়ির তালা বন্ধ। চোপড়ার বাড়িতে গিয়েও খোঁজ মেলেনি বাবরের।
অন্য দিকে, ট্যাব-কাণ্ডে অ্যাকাউন্ট ভাড়া দেওয়ার তথ্য উঠে আসায় ইসলামপুর ও চোপড়ার বেশ কয়েক জনকে পুলিশের তরফে নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়েরা।