—ফাইল চিত্র।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহির পরে এ বার ইজ়রায়েলের সঙ্গে সন্ধির পথে এগোল বাহরাইন। মধ্যস্থতার নেপথ্যে এ বারও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
টুইটারে এই সন্ধির কথা ঘোষণা করে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আর একটি ইতিহাস তৈরি হল আজ। আমাদের দুই বন্ধু ইজ়রায়েল এবং বাহরাইন (আরব দুনিয়ার দ্বিতীয় দেশ হিসেবে) শান্তি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে!’
হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর, ট্রাম্পের কথাতেই ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং বাহরাইনের সর্বেসর্বা হামাদ বিন ইসা অাল খলিফা শান্তি চুক্তিতে সম্মত হয়েছেন। এ ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন ট্রাম্পের জামাই তথা তাঁর বিশেষ উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার। আগামী সপ্তাহে হোয়াইট হাউসে চুক্তি সাক্ষরিত হবে।
ট্রাম্প সাংবাদিক বৈঠকে জানান, এই চুক্তির মাধ্যমে ইজ়রায়েল ও বাহরাইনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। দুই দেশের মধ্যে সরাসরি উড়ান চালু হবে। রাষ্ট্রদূত বিনিময় হবে। চালু হবে দূতাবাস। স্বাস্থ্য, বাণিজ্য, প্রযুক্তি, শিক্ষা, নিরাপত্তা, কৃষি, সব ক্ষেত্রেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে দুই দেশ। ট্রাম্পের আশা, ইজ়রায়েলের সঙ্গে খুব তাড়াতাড়ি আরও বেশ কিছু দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে। ট্রাম্প বলেন, ‘‘এই এলাকা আরও শান্ত, সুসংহত, নিরাপদ এবং সমৃদ্ধ হবে।’’
এ মাসেই ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইজ়রায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করেছে আরব আমিরশাহি। মিশর এবং জর্ডনের পরে তারাই ছিল তৃতীয় দেশ। এই কাজের জন্য ২০২১-এর নোবেল শান্তি পুরস্কারের তালিকায় ট্রাম্পকে মনোনীত করেছেন নরওয়ের পার্লামেন্ট-সদস্য টিবরিং জেড্ডে।
যদিও কূটনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ইরানকে একযোগে কোণঠাসা করার লক্ষ্যেই একের পর এক শান্তি চুক্তি করাচ্ছে আমেরিকা।