‘ডিউক অফ এডিনবরা’ প্রিন্স ফিলিপ।
এই বসন্তেই রাজকার্য থেকে অবসর নিচ্ছেন ব্রিটেনের রানির স্বামী, ‘ডিউক অফ এডিনবরা’ প্রিন্স ফিলিপ।
বাকিংহাম প্রাসাদের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘ডিউক অফ এডিনবরা’র এই সিদ্ধান্তে রানির সায় রয়েছে। জুনে ৯৬-এ পা দিচ্ছেন প্রিন্স ফিলিপ। অগস্ট পর্যন্ত পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিগুলিতে তিনি অংশ নেবেন। তবে নতুন করে আর কোনও কর্মসূচিতে আর তাঁর নাম রাখবে না বাকিংহাম প্রাসাদ। কোনও আমন্ত্রণপত্রও নেবেন না। রানি অবশ্য যথারীতি তাঁর রাজ-দায়িত্ব পালন করে যাবেন।
বাকিংহাম প্রাসাদ জানিয়েছে, বয়স হওয়া সত্ত্বেও যথেষ্টই সক্রিয় ‘ডিউক এফ এডিনবরা’। গত বছরেও তিনি ১১০ দিন বিভিন্ন রাজকীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। বিভিন্ন আমন্ত্রণ রক্ষা করেছেন। এই মুহূর্তে ৭৮০টি সংগঠনের হয় পৃষ্ঠপোষক, নয়তো প্রেসিডেন্ট বা সদস্যপদ রয়েছে প্রিন্স ফিলিপের। তাদের কোনও কর্মসূচিতে আর অংশ না নিলেও তার বর্তমান পদগুলিতে বহাল থাকবেন প্রিন্স ফিলিপ, আজীবন। তবে ইচ্ছা হলে, রাজপ্রাসাদের কোনও জনসংযোগ কর্মসূচিতে তিনি অংশ নিতে পারেন।
আরও পড়ুন- দেশের স্বচ্ছতম ইনদওর, প্রথম একশোয় নেই রাজ্যের কোনও শহর!
বাকিংহাম প্রাসাদের তরফে এও জানানো হয়েছে, অসুস্থতা বা বার্ধক্যের কারণে রাজকার্য থেকে অবসর নিচ্ছেন না প্রিন্স ফিলিপ। বুধবারও লর্ডসের ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নতুন একটি স্ট্যান্ডের উদ্বোধন করেছেন তিনি।
এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে তাঁর শ্রদ্ধা, শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ‘ডিউক অফ এডিনবরা’কে। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনও। তবে কিছুটা শ্লেষ ঝরে পড়েছে লিবারাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা টিম ফ্যারনের মন্তব্যে। ফ্যারন বলেছেন, ‘‘আমরা সাধারণত যে বয়সে অবসর নিই, তার ৩০ বছর পর অবসরের সিদ্ধান্ত নিলেন ‘ডিউক অফ এডিনবরা’।’’