পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুমকি দিল মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদ।
প্রবল আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সম্প্রতি হাফিজ সইদকে জঙ্গি ঘোষণার পাশাপাশি তার পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিকে কব্জা করতে শুরু করেছে পাক সরকার। পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির জেলা প্রশাসন জামাত-উদ-দাওয়া পরিচালিত একটি ধর্মীয় ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান’ ও ফালাহ-ই-ইনসানিয়াৎ-এর চারটি চিকিৎসা কেন্দ্রের উপরে ইতিমধ্যেই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে।
সরকারের এই কর্মকাণ্ডকে ‘বেআইনি’ দাবি করে বৃহস্পতিবারই হাফিজ জানায়, ‘‘কোনও আইনি নির্দেশ ছাড়াই আমাকে ১০ মাস আটকে রাখা হয়েছিল। এ বার আমাদের স্কুল, চিকিৎসালয়, অ্যাম্বুল্যান্স-সহ সমস্ত স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি কব্জা করতে নির্দেশিকা জারি করেছে পাক সরকার। তার ফলে পঞ্জাব, বালুচিস্তান, সিন্ধু, মুক্ত কাশ্মীর-সহ উত্তর পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে আমাদের সেবা-মূলক কাজ ব্যাহত হচ্ছে।’’
পাশাপাশি নিজের সংগঠনের কর্মীদের শান্ত থাকার বার্তা দিয়েছে হাফিজ। সরকারের কাজে বাধা দিতে গিয়ে যেন কোনও ভাবে হিংসা না ছড়ায় তা নিয়ে কর্মীদের সতর্ক করা হয়েছে।
গত শুক্রবার পাক প্রেসিডেন্ট মামুন হোসেন যে বিশেষ অর্ডিন্যান্সে সই করেছিলেন, তার ফলে রাষ্ট্রপুঞ্জ-ঘোষিত সন্ত্রাসবাদী ও নিষিদ্ধ সব ক’টি জঙ্গি সংগঠনের উপরেই ‘সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইন’ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে ইসলামাবাদ। এই প্রসঙ্গে পাক-পঞ্জাব প্রদেশের আইনমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এ দিন জানিয়েছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই সেখানে হাফিজের সংগঠন-পরিচালিত সমস্ত প্রতিষ্ঠানের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সেগুলির উপরে রাশ টানার কাজও জোর কদমে শুরু হয়ে গিয়েছে।