গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
চিনের আপত্তি অগ্রাহ্য করে ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের আসল কারণ কী? কূটনীতি নাকি ঘর সামাল দেওয়ার মরিয়া প্রয়াস, তা নিয়ে এখন নতুন করে প্রশ্ন উঠে গেল। কারণ একাধিক কূটনৈতিক বৈঠকের পাশাপাশি ন্যান্সির বৈঠক হল মার্ক লুইয়ের সঙ্গেও। ঘটনাচক্রে যিনি তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কর্পোরেশন (টিএসএমসি)-এর চেয়ারম্যান। এই কর্পোরেশনের হাতেই অর্ধেকেরও বেশি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে বিশ্বের সেমিকন্ডাক্টর বা কম্পিউটার চিপ বাজারের।
৫জি প্রযুক্তির ব্যাপক বিস্তারের ফলে ‘ইন্টারনেট অব থিংস’ বা প্রতিটি বৈদ্যুতিন সামগ্রী পরস্পর সম্পর্কযুক্ত, এই ধারণার বাস্তবায়নও গতি পেয়েছে। এই মুহূর্তে তার সবচেয়ে বড় বাজার আমেরিকা। ক্রমশ তা দুনিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। এই ধারণার সফল বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন কম্পিউটার চিপের। যে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে তাইওয়ান। সে কারণেই তাইওয়ান যদি চিনের নিয়ন্ত্রণে চলে যায় তা হলে সমস্যা বাড়বে আমেরিকার।
আমেরিকার বহুজাতিক প্রযুক্তি সংস্থাগুলো পুরোপুরি টিএসএমসির উপরই নির্ভরশীল। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, বাইডেন জমানায় সেই সম্পর্ককেই আরও পোক্ত করার ইচ্ছে নিয়েই ন্যান্সি বৈঠক করেন মার্কের সঙ্গে। কারণ, আমেরিকার ইন্টেলের মতো প্রযুক্তি সংস্থা যদি তাইওয়ান থেকে চিপ আমদানি করতে না পারে, তা হলে চাপে পড়তে পারে বাইডেন প্রশাসন।
স্বভাবতই, তাইওয়ানকে চিন জোর করে নিজের অংশ করে নিলে আমেরিকার সেই লক্ষ্য ধাক্কা খাবে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কারণেই কার্যত আগ বাড়িয়ে তাইওয়ান সফরে গেলেন ন্যান্সি।