সোমবারই ৪৪০০ কোটি ডলার খরচ করে টুইটারকে কিনে নিয়েছেন মাস্ক। সেই সঙ্গে পাঁচ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে গ্রাহককে করা তাঁর প্রশ্নের উত্তরও গোটা বিশ্বকে দিয়ে দিলেন মাস্ক।
এলন মাস্ক। ফাইল চিত্র।
সাল ২০১৭। ২১ ডিসেম্বর। প্রতি দিন কিছু না কিছু নিয়ে যে ভাবে টুইট করেন, সে দিনও একটা টুইট করেছিলেন এলন মাস্ক। এবং খুব হালকা ভাবেই সেই টুইটটা করেছিলেন তিনি। টুইটে সে দিন মাস্ক লিখেছিলেন, ‘আই লাভ টুইটার’। এক কোটি ৭৪ লক্ষ গ্রাহক সেই টুইটটি পছন্দ করেছিলেন। রিটুইট করেছিলেন ৩৫ হাজার গ্রাহক।
তাঁদের মধ্যেই এক গ্রাহক মজাচ্ছলে বলেছিলেন, ‘তা হলে গোটা টুইটারকে কিনে নিচ্ছেন না কেন?’ কথাটা মনে ধরেছিল মাস্কের। সেই গ্রাহককে তখন তিনি পাল্টা জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘টুইটার কিনতে কত খরচ হতে পারে?’ তার পরের ঘটনা ইতিহাস।
সোমবারই ৪৪০০ কোটি ডলার খরচ করে টুইটারকে কিনে নিয়েছেন মাস্ক। সেই সঙ্গে পাঁচ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে গ্রাহককে করা তাঁর প্রশ্নের উত্তরও গোটা বিশ্বকে দিয়ে দিলেন মাস্ক। আর টুইটারকে কেনার পর থেকেই তাঁর পুরনো টুইটটিও ঘুরতে শুরু করেছে নেটমাধ্যমে।
সপ্তাহ দুয়েক আগেও মাস্ক তাঁর ফলোয়ারদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তাঁর কি কোনও নতুন নেটমাধ্যম সংস্থা চালু করা উচিত? তাঁর ফলোয়াররা তখন বলেছিলেন, নতুন কোনও নেটমাধ্যম কেন, টুইটারকেই কিনে নিন না! সেই প্রস্তাবকেই কার্যত শিরোধার্য করে তার পর পরই টুইটারের ৯.২ শতাংশ শেয়ার কিনে নেন মাস্ক। টুইটারকে কেনার লক্ষ্যে এগনোর প্রথম ধাপ শুরু হয় এখান থেকেই।
কেন অন্য কোনও নেটমাধ্যম সংস্থা খুললেন না মাস্ক? কেনই বা টুইটারকে বেছে নিলেন? মাস্ক নিজেই তাঁর উত্তর দিয়েছেন। মাস্ক বলেছেন, টুইটারের একটা জবরদস্ত ক্ষমতা রয়েছে। যা তাঁকে আকৃষ্ট করেছে। এক সময় টুইটারের সঙ্গে তাঁর কম বিতর্ক হয়নি। এ বার সেই টুইটারকেই নিজের ‘কব্জা’য় নিয়ে সপাটে উত্তর দিলেন মাস্ক।
মাস্ক জানিয়েছেন, আরও অনেক নতুন বৈশিষ্ট সংযোজন করা হবে টুইটারে। ভুয়ো অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। তাঁর কথায়, “একটি গণতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ অবাধ মত বিনিময়। টুইটার একটি ডিজিটাল টাউন স্কোয়ার যেখানে মানবতার ভবিষ্যৎ এবং মানবিক অধিকার নিয়ে মত বিনিময় হয়।” তিনি চান, তাঁর সবচেয়ে বড় সমালোচকও যেন টুইটারে থাকেন। কেননা এটাকেই বাক্স্বাধীনতা বলে। এমনটাই জানিয়েছেন মাস্ক।
তিনি বলেন, “টুইটারকে আরও ভাল করে গড়ে তুলব। আরও নতুন ফিচার আনব। এতে মানুষের আরও বিশ্বাস বাড়বে। গ্রাহকদের সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।”