হোয়াইট হাউস। ক্ষমতার কেন্দ্রস্থলের অন্যতম প্রতীক। কিন্তু জানেন কি সৌন্দর্যায়নের জন্য নয়, এই বাড়ির রং সাদা করা হয়েছিল বিশেষ প্রয়োজনে। পরে স্থাপত্যের পাশাপাশি এই সাদা রং-ও এই বাড়ির সৌন্দর্যের বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১৭৯১ খ্রিস্টাব্দে এই জায়গাটি বেছেছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন। নির্মাণকাজ শুরু হয় পরের বছর। সে কাজ শেষ হয় সাত বছর পরে। কিন্তু নির্মাণকর্মীরা ভবনের গায়ে কোনও রং করেননি। তার বদলে, হোয়াইট ওয়াশ করেন।
কেন হোয়াইট ওয়াশ, তার পিছনে যুক্তি ছিল, এর ফলে সছিদ্র পাথর থেকে জল চুঁইয়ে পড়বে না। অর্থাৎ পাথরকে লিক-প্রুফ করা হয়েছিল। সুরক্ষার বর্ম দিতেই সাধারণ রঙের বদলে বেছে নেওয়া হয়েছিল চুনাপাথর নির্ভর হোয়াইট ওয়াশ।
রিডার্স ডাইজেস্টের প্রতিবেদন বলছে, ঐতিহাসিক এই বাড়ির প্রথম বাসিন্দা ছিলেন দ্বিতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামস। তিনি প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন ১৭৯৭-১৮০১ খ্রিস্টাব্দ।
তার অনেক আগে থেকেই এই বাড়ি তার নাম ও পরিচয় পেয়ে গিয়েছিল। তবে কেউ তাকে প্রেসিডেন্টস হাউস বলত না।
বরং মুখে মুখে এর নাম হয়ে গিয়েছিল ‘হোয়াইট হাউস’। সেই সাদাবাড়ি পরিচয়ই রয়ে যায় বরাবরের জন্য।
১৮১২-১৮১৫ এই তিন বছর ভয়ঙ্কর যুদ্ধ হয় আমেরিকা আর ইংল্যান্ডের মধ্যে। এই যুদ্ধে পরাজিত আমেরিকার বহু গুরুত্বপূর্ণ ভবনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল ব্রিটিশ বাহিনী। তার মধ্যে ছিল হোয়াইট হাউসও।
১৮১৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে হোয়াইট হাউসে শুরু হয় লেড-পেইন্টের যুগ। হোয়াইট ওয়াশের তুলনায় সীসার পেইন্টে আরও উজ্জ্বল হয় এর সাদা রং।
পুরো ভবনটিকে রং করতে ব্যবহৃত হয়েছিল ৫৭০ গ্যালন লেড পেইন্ট।
এর পর ৮০ বছর ধরে ‘হোয়াইট হাউস’ ছিল নিছক ডাকনাম। ১৯০১ সালে একেই এই বাড়ির সরকারি পরিচয় করেন ২৬-তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিয়োডোর রুজভেল্ট।
রুজভেল্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন ১৯০১-১৯০৯ খ্রিস্টাব্দ অবধি।
রং কেন সাদা, এর নাম কেন ‘হোয়াইট হাউস’ জানেন?