ফাইল চিত্র।
অতিমারির সঙ্গে লড়তে টিকার সমবণ্টনের কথা বারবারই বলে এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। যদিও তাদের আবেদন বাস্তবে ধোপে টেকেনি। ধনী দেশগুলি যখন দু’টি ডোজ় দেওয়া শেষ করে তৃতীয় ডোজ়ের কথা ভাবছে, আফ্রিকার গরিব দেশগুলোতে তখন টিকাকরণের হার মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশের আশপাশে। এ অবস্থায় দরিদ্র দেশগুলোর জন্য কোভিডের ওষুধের (পরীক্ষাধীন) আগাম ব্যবস্থা সেরে রাখতে চাইছে হু। এতে অল্প উপসর্গযুক্ত করোনা-রোগীদের চিকিৎসার জন্য ১০ ডলারেই মিলবে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ।
‘মোলনুপিরাভিয়ার’ নামে একটি ওষুধ তৈরি করছে মার্ক অ্যান্ড কোং নামক ওষুধপ্রস্তুতকারী সংস্থা। কোভিডের অল্প উপসর্গ থাকতেই এই ওষুধ খেলে রোগী সুস্থ হয়ে উঠতে পারে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। গরিব দেশগুলোর জন্য এই ওষুধের সরবরাহ ও করোনা-পরীক্ষার ব্যবস্থা আগাম সেরে রাখতে চাইছে হু। ‘টিকা-প্রতিযোগিতায়’ ধনী দেশগুলোর কাছে হার স্বীকারের পরে স্বল্প মূল্যে দরিদ্র দেশগুলোকে করোনোর হাত থেকে রক্ষা করতে তারা বদ্ধপরিকর।
হু-র প্রকল্পটির নাম ‘কোভিড-১৯ টুলস অ্যাকসিলারেটর’ (এসিটি-এ)। প্রকল্পের মুখপাত্র জানান, ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পুরো বিষয়টি এখনও আলোচনাধীন। চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা সম্ভব নয়। এ মাসের শেষে রোমে জি-২০ সম্মেলন বসবে। সেখানে রাষ্ট্রনেতাদের কাছে পাঠানো হবে যাবতীয় তথ্যাদি। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে জি-২০ অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর কাছে অতিরিক্ত ২২৮০ কোটি ডলার অর্থসাহায্যও চেয়েছে এসিটি-এ। গরিব দেশগুলোর বাসিন্দাদের কোভিডের টিকা, চিকিৎসা, করোনা-পরীক্ষার জন্য ওই অর্থের প্রয়োজন বলে জানিয়েছে তারা। ও দিকে, কোভিডের মিশ্র টিকাকরণে অনুমতি দেওয়ার কথা ভাবছে আমেরিকা। একাধিক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, বাজারে উপস্থিত কোভিড ভ্যাকসিনের মিশ্র প্রয়োগে ভাল কাজ দিচ্ছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) বুস্টার ডোজ় দেওয়ার ক্ষেত্রে এই মিশ্র পদ্ধতিকে ছাড়পত্র দেওয়ার কথা ভাবছে। এ-ও শোনা যাচ্ছে, এক-দু’দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ঘোষণা করবে তারা।