তাদের প্রতিষেধকের একটি ডোজই করোনা প্রতিরোধী বলে দাবি জনসনের। ছবি: রয়টার্স।
জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য এ বার জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি করোনা প্রতিষেধককে তালিকাভুক্ত করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। জনসন অ্যান্ড জনসন আমেরিকান সংস্থা। তাদের তৈরি প্রতিষেধকের একটি ডোজই করোনার বিরুদ্ধে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারে বলে দাবি করেছে জনসন। এমনকি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় প্রতিষেকটিকে সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতাও নেই। তবে মানবদেহের পক্ষে এই প্রতিষেধক আদৌ কতটা নিরাপদ, কাদের উপর এই প্রতিষেধক প্রয়োগে ঝুঁকি রয়েছে, বিশদে তা আলোচনা করেই ঠিক করা হবে যে এই প্রতিষেধককে আদৌ গণহারে প্রয়োগের ছাড়পত্র দেওয়া হবে কি না।
এর আগে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রিটিশ-সুইডিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং আমেরিকান সংস্থা ফাইজারের তৈরি প্রতিষেধক ব্যবহার করে টিকাকরণে সায় দিয়েছিল তারা। তবে নোভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ওই দু’টি প্রতিষেধকেরই দু’টি করে ডোজ নেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। তবে ছাড়পত্র পাওয়া গেলে জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি প্রতিষেধকটিই প্রথম একটি ডোজের প্রতিষেধক হিসেবে গণ্য হবে।
কোভ্যাক্স প্রকল্পের আওতায় বিশ্বের সর্বত্র করোনা প্রতিষেধক পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে হু-র। যে সব দেশে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কড়াকড়ি তেমন নেই, সেখানে দ্রুত প্রতিষেধক পৌঁছে দেওয়ায় পণ করেছে তারা। জনসনের তৈরি প্রতিষেধক সে ক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহার করা যাবে। ছাড়পত্র পেলে অন্য দেশের টিকাকরণেও এই প্রতিষেধক ব্যবহারে কোনও বিধিনিষেধ থাকবে না। এ প্রসঙ্গে হু-র ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস বলেন, ‘‘মানবদেহের পক্ষে নিরাপদ প্রমাণিত হলে করোনার বিরুদ্ধে নতুন সবকিছুই অতিমারি নিয়ন্ত্রণের পথে এগোতে সাহায্য করবে আমাদের।’’
তবে জনসনের তৈরি প্রতিষেধক কাদের উপর প্রয়োগ করা যাবে, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেনি হু। আগামী সপ্তাহে রোগ প্রতিরোধ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি বিশেষ বৈঠক রয়েছে। তাঁদের পরামর্শ মতোই প্রতিষেধক ব্যবহার সংক্রান্ত বিশদ তথ্য নির্দেশাবলী প্রতিষেধকটিকে হিমাঙ্কের নীচে তাপমাত্রায় রাখার যেহেতু কোনও বাধ্যবাধকতা নেই, তাই এতে দরিদ্র দেশগুলিতে টিকাকরণে সুবিধা হবে বলে মনে করছেন হু-র আধিকারিকরা।