সম্প্রতি এমিরেটস সংস্থার একটি বিজ্ঞাপন ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ব্রিটেন ভ্রমণে এমিরেটস বিমান সংস্থাকে লাল তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর পরই ওই বিজ্ঞাপন বানিয়েছে এমিরেটস।
দুবাইয়ের বুর্জ খলিফার মাথায় তুলে এক তরুণীকে দিয়ে বিজ্ঞাপনের শ্যুটিং করানো হয়েছে। সেই ভিডিয়ো দেখে যে কারও গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠবে।
অথচ যে তরুণী এই বিজ্ঞাপনের মূল আকর্ষণ, তিনি কিন্তু অত্যন্ত সাবলীল ভাবে দুঃসাহসিক এই কাজ করেছেন। তাঁর চোখে-মুখে বিন্দুমাত্র ভয় ধরা পড়েনি।
তাঁর পরনে ছিল এমিরেটস কেবিন ক্রু-এর পোশাক। ঠিক যেন কোনও বিমানসেবিকা। ওই বিমানসেবিকার নিরাপত্তা নিয়ে অনেক সমালোচনাও সহ্য করতে হয়েছে এমিরেটসকে।
ওই মহিলার নাম নিকোল স্মিথ-লুদভিক। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিমেষে সারা বিশ্বে পরিচিতি পাওয়া নিকোলের আসল পরিচয় কী জানেন?
এমিরেটস বিমানসেবিকার পোশাক পরে ওই রকম উচ্চতায় দাঁড়িয়ে থাকা নিকোল বাস্তবে একজন অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষ।
তিনি এক জন স্কাইডাইভিং প্রশিক্ষক। সে কারণেই এত সহজে এবং সাবলীল ভাবে এই বিজ্ঞাপনটি করতে পেরেছেন তিনি।
ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুগামীর সংখ্যা ১৭ হাজারেরও বেশি। ইনস্টাগ্রাম বায়ো-তে তিনি নিজেকে ‘বিশ্ব ভ্রমণকারী, স্কাইডাইভার, যোগ প্রশিক্ষক, হাইকার এবং রোমাঞ্চপ্রিয়’ মানুষ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
তাঁর মতে, ‘জীবন একটি দুঃসাহস এবং রোমাঞ্চে ভরা অভিযান। তা না হলে জীবনের কোনও অর্থই নেই।’ ইনস্টাগ্রামের পাতায় এটি লিখে রেখেছেন তিনি।
নিকোলে কতটা দুঃসাহসী তা তাঁর ইনস্টাগ্রামের ছবি থেকেই স্পষ্ট। একাধিক রোমাঞ্চকর ছবি রয়েছে তাতে।
এমিরেটস-এর ওই বিজ্ঞাপনের পর পরই তিনি অনুগামীদের সঙ্গে আরও একটি ছোট ভিডিয়ো ভাগ করে নেন। ফক্স অ্যাক্রোব্যাটিক গ্লাইডার বিমানে মাঝ আকাশে থাকা অবস্থায় সিট বেল্ট খুলে ফেললে কী পরিণতি হবে তা ভিডিয়ো করেছেন নিজে।
ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, গ্লাই়ডার বিমানটির মাথা ফাঁকা। দুই আসনের ওই বিমানের পিছনের আসনে বসে ছিলেন তিনি। হঠাৎই নিজের সিট বেল্ট খুলে ফেললেন। তার পর আকাশে ভেসে গেলেন। কিছু পরে প্যারাশ্যুট খুলে নীচে নামলেন। এ রকম আরও অনেক রোমাঞ্চকর ছবি এবং ভিডিয়ো রয়েছে তাঁর ইনস্টাগ্রামে।
তবে এই বিজ্ঞাপনটিকেই তিনি জীবনের শ্রেষ্ঠ অভিজ্ঞতা বলে মনে করেন।
এর বাইরে খুব বেশি ব্যক্তিগত তথ্য এখনও জানা যায়নি তাঁর সম্পর্কে। তবে নিকোল বিবাহিত। ইনস্টাগ্রামে নিজের বিয়ের ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি।