তৃতীয় এই সম্ভাবনাটি সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। ওমিক্রনের তুলনায় অনেক বেশি সংক্রামক ও বিপজ্জনক কোনও ভেরিয়েন্ট আসতে পারে। যার জেরে বাড়তে পারে মৃত্যুও।
ফাইল চিত্র।
কেমন হতে চলেছে অতিমারির তৃতীয় বছর? আগামী দিনে কি ফের করোনা সংক্রমণের নতুন ঢেউ আছড়ে পড়বে নাকি এ বারই শেষের পথে অতিমারি? ২০২২ সালে বিশ্ব জুড়ে করোনা সংক্রমণের গতিবিধি কেমন হতে পারে, সেই সংক্রান্ত একটি সম্ভাব্য রূপরেখা প্রকাশ করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(হু)।
সংস্থার প্রধান টেড্রস অ্যাডানাম গেব্রিয়েসাস সেই রূপরেখায় তিনটি সম্ভাবনার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, হতে পারে ভাইরাস তার রূপ পরিবর্তন করে নতুন ভেরিয়েন্ট হিসাবে হাজির হল। ঠিক যেমনটা আমরা আগেও শুনেছি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসটি আরও কম ক্ষতিকারক হবে। সেই সঙ্গে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। টিকাকরণ ও ওষুধের জেরে রোগের সঙ্গে লড়াই করে সুস্থ হয়ে উঠবেন অনেকেই। আবার এমনও হতে পারে, ভাইরাস এতটাই দুর্বল হয়ে গেল যে বুস্টার ডোজ় বা টিকার আর প্রয়োজন পড়বে না এক সময়। তবে উল্টোটাও হতে পারে। তৃতীয় এই সম্ভাবনাটি সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। ওমিক্রনের তুলনায় অনেক বেশি সংক্রামক ও বিপজ্জনক কোনও ভেরিয়েন্ট আসতে পারে। যার জেরে বাড়তে পারে মৃত্যুও। হু-র করোনা সংক্রান্ত শাখার প্রধান মারিয়া ফন কারখোভে বলেন, ‘‘ভাইরাসকে দুর্বল মনে করার কোনও কারণ নেই। অতিমারির এই তৃতীয় বছরেও ওর অনেক কিছু করার ক্ষমতা রয়েছে।’’
টেড্রসের মতে, শরীরে করোনা ভাইরাসের অ্যান্টিবডি কমে গেলেই সংক্রমণের ঢেউ ফিরে ফিরে আসতে পারে। তাই যাঁদের ঝুঁকি বেশি, তাঁদের ক্ষেত্রে টিকাকরণ এবং বুস্টার ডোজ় দেওয়া চালিয়ে যেতে হবে। সংক্রমণের বাড়াবাড়ি রুখতে আমেরিকা ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করেছে। গতকাল সে দেশের খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফডিএ জানিয়েছে, ৫০ বছর ও তার বেশি বয়সিরা চাইলে দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ় নিতে পারবেন। তাতে ঝুঁকিপ্রবণদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বাড়বে। মডার্না বা ফাইজ়ারের দু’টি ডোজ় এবং একটি বুস্টার যাঁরা ইতিমধ্যেই নিয়েছেন, তাঁরা ওই সুযোগ পাবেন।