ছবি সংগৃহীত।
তাদের দেশে পাক সরকারি বিমান পরিবহণ সংস্থা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ)-র সরাসরি উড়ান নিষিদ্ধ ঘোষণা করল মার্কিন প্রশাসন। গত এপ্রিলে প্রথম পাকিস্তান থেকে পিআইএ-র সরাসরি উড়ান আমেরিকার মাটিতে নামার অনুমতি দিয়েছিল মার্কিন পরিবহণ দফতর। কথা ছিল, মোট ১২টি উড়ানের মাধ্যমে আমেরকিায় লকডাউনে আটকে পড়া পাকিস্তানি নাগরিকদের ফেরানোর বন্দোবস্ত করা হবে। এখনও পর্যন্ত পিআইএ-র ছ’টি উড়ান আমেরিকা থেকে পাক নাগরিকদের আনতে পেরেছে। তার পরেই ওই সংস্থার উড়ান আপাতত আমেরিকায় নামা বন্ধ করে দিল মার্কিন প্রশাসন।
গত মে মাসে পাকিস্তানে পিআইএ-র একটি বিমান মাটিতে নামার কয়েক মুহূর্ত আগে ভেঙে পড়ে। ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল বিমানটির ৯৭ জন আরোহীর। এর কিছু দিন পরে পাক বিমানমন্ত্রী গুলাম সারওয়ার খান দেশের পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে স্বীকার করে নেন যে, পিআইএ-তে অন্তত দেড়শো জন এমন পাইলট রয়েছেন, যাঁদের বিমান চালানোর শংসাপত্র নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তাঁরা জাল শংসাপত্র দেখিয়ে চাকরি পেয়েছেন। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরেই ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলি আগামী ছ’মাসের জন্য পিআইএ-র বিমান নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেয়। মার্কিন পরিবহণ দফতরও একই কারণে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। একটি মার্কিন ল ফার্ম ই-মেলে পিআইএ-কে জানিয়েছে যে, সম্প্রতি তাদের সংস্থার পাইলটদের নিয়ে যে রিপোর্ট সামনে এসেছে, তা উদ্বেগের।
বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছে পাক উড়ান সংস্থাটিও। তারা বিবৃতিতে বলেছে আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত একটা বড় ধাক্কা। তবে সেই সঙ্গেই তাদের মুখপাত্র এক প্রথম সারির পাক দৈনিককে জানিয়েছেন, মার্কিন পরিবহণ আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা করছে পিআইএ।