আনুষ্ঠানিক ভাবে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়ন গ্রহণ করলেন জো বাইডেন। ছবি: এএফপি।
প্রথম অশ্বেতাঙ্গ হিসেবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতে এক যুগ আগে ইতিহাস তৈরি করে ছিলেন তাঁর ডেমোক্র্যাট পূর্বসূরি বারাক ওবামা। এ বার হোয়াইট হাউসের দৌড়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওবামার সেদিনের ‘রানিং মেট’-এর ঘোষণা, তাঁর লক্ষ্য আমেরিকার আত্মা জয় করে অন্ধকার যুগের অবসান ঘটানো।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনীত হওয়ার পরে বৃহস্পতিবার রাতে ‘ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশন’-এর চতুর্থ তথা শেষ দিনে বক্তৃতা করেন বাইডেন। আনুষ্ঠানিক ভাবে ৫০টি প্রদেশের ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধিদের অনলাইন রোলকল ভোটে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনীত হওয়ার পরে তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছে এই মুহূর্তটি খুব সম্মানের। বিনম্রতার সঙ্গে মনোনয়নের প্রস্তাব গ্রহণ করলাম। আপনারা যে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন, সর্বশক্তি দিয়ে তা পালন করার চেষ্টা করব। আমার বিশ্বাস, ঐক্যবদ্ধ ভাবে আমরা আমেরিকাকে অন্ধকারের এই যুগ থেকে মুক্ত করতে পারব।’’
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সভায় নাম না করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করেন বাইডেন। তিনি বলেন, ‘‘বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিজে কোনও দায়িত্ব নেন না, অন্যকেও দায়িত্ব দিতে চান না। আবার ব্যর্থতার জন্য অন্যকে দোষারোপ করেন। ঘৃণা এবং বিদ্বেষের রাজনীতিই স্বৈরাচারী ওই নেতা এবং তাঁর ভক্তদের হাতিয়ার। তাঁকে যদি আরও চার বছরের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় তবে গত চার বছরের ঘটনাপ্রবাহের পুনরাবৃত্তি ঘটবে। অথচ আমরা অতীতে অন্য এক আমেরিকাকে দেখেছি। যা একাধারে উদারবাদী ও পরাক্রমশালী। নিঃস্বার্থ এবং বিনম্র।’’
আরও পড়ুন: ধোনির পর রায়নাকেও চিঠি প্রধানমন্ত্রীর, ধন্যবাদ বাঁ-হাতিরও
ট্রাম্পের রিপাবলিকান জমানায়, যাবতীয় সুযোগসুবিধা সমাজের উচ্চশ্রেণির কুক্ষিগত হচ্ছে দাবি তুলে শ্রমিক শ্রেণির স্বার্থরক্ষার বার্তা দিয়েছেন বাইডেন। সেই সঙ্গে ট্রাম্পের বিদেশনীতির সমালোচনা করে বাইডেন জানিয়েছেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি বিশ্বজুড়ে স্বৈরাচারী শাসকদের সাহায্য দেওয়া বন্ধ করবেন। গুরুত্ব দেবেন ওয়াশিংটনের গণতান্ত্রিক বন্ধুদের স্বার্থরক্ষায়।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের টক্করে মনোনীত বাইডেনই
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রুশ সাহায্য নেওয়ার অভিযোগের প্রসঙ্গ তুলে এদিন খোঁচা দিয়েছেন জো বাইডেন। এনেছেন, আফগানিস্তানে মার্কিন সেনার বিরুদ্ধে সক্রিয় তালিবানের একাংশকে মস্কোর মদতের প্রসঙ্গও। তাঁর ঘোষণা, ‘‘বাইডেন প্রেসিডেন্ট হলে মার্কিন সেনার শত্রুদের মদতের ঘটনায় চোখ বুজে থাকবে না।’’ মার্কিন শ্রমিকদের স্বাস্থ্য বিমা। নারীদের সমান বেতনের মতো সামাজিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির প্রসঙ্গও উঠে এসেছে বাইডেনের বক্তৃতায়।