ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: রয়টার্স।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে এই প্রথম সাংবাদিক বৈঠক করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। প্রায় দু’বছর ধরে চলতে থাকা যুদ্ধ প্রসঙ্গে তিনি দাবি করলেন, রাশিয়া ‘লক্ষ্যে সফল হলে’ তবেই যুদ্ধ থামবে, শান্তি ফিরবে ইউক্রেনে।
প্রতি বছরই রীতিমাফিক বার্ষিক সাংবাদিক সম্মেলন করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। গত বছর বৈঠকটি বাতিল হয়েছিল। এ বছর ফের বৈঠক করেছেন পুতিন। এ বারের বৈঠকের বিষয় ছিল, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, সেনাকর্মী ও তাঁদের পরিবারকে পারিশ্রমিক দেওয়া এবং রুশ অর্থনীতি। এই সাংবাদিক সম্মেলনে টেলিফোন বা ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে সাধারণ মানুষও অংশ নিতে পারেন। পুতিনের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন সেনাকর্মী, সাংবাদিক ও সাধারণ নাগরিকেরা। প্রশ্ন-উত্তরের ফাঁকে বৈঠকে পুতিন বলেন, ইউক্রেনে শান্তি তখনই ফিরবে যখন ইউক্রেন মেনে নেবে যে তারা পশ্চিমি সামরিক জোট নেটোর অন্তর্ভূক্ত হবে না। এ ছাড়াও, ইউক্রেনে নব্য-নাৎসি প্রভাব কমানো নিয়েও বলেন তিনি। পুতিনের বক্তব্য, তাদের দাবি ইউক্রেন মেনে নিলে তবেই সে দেশে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বন্ধ হবে। তিনি জানান, ইউক্রেনে এই মুহূর্তে ছ’লক্ষ সতেরো হাজার রুশ সেনা নিযুক্ত রয়েছে। গত বছর কমপক্ষে ২ লক্ষ ৪৪ হাজার জনকে এই ‘অভিযানে’ নিয়োগ করা হয়েছিল। এখন আর নতুন করে সেনা নিয়োগের পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে ইউক্রেন থেকে কবে সেনা প্রত্যাহার করা হবে, তার উত্তর নেই। পুতিন বলেন, ‘‘সামরিক বাহিনী সরানো বা কমানো (ডিমিলিটারাইজ়েশন) প্রসঙ্গে বলছি, ওরা যদি সমঝোতায় রাজি না হয়, তা হলে অন্য পথ নেব। সেটা চুক্তির ভিত্তিতে বা বলপ্রয়োগ করে।’’
এ দিনের বৈঠকে পুতিন গত জুন মাসে রুশ অধিকৃত ক্রাইমিয়ায় করা ইউক্রেনের হামলা প্রসঙ্গে বলেন, ইউক্রেন এই দু’বছরের মধ্যে ওই ‘ছোট এলাকা’য় সাফল্য লাভ করলেও নিজেদের ‘সব চেয়ে ভাল’ কিছু সেনাকর্মীকে হারিয়েছে।