সিমোন বার্নস। ছবি : এএনআই।
বিমানে সফরকালে অতিরিক্ত মদ না পেয়ে দুর্ব্যবহার করা আইরিশ মহিলার মৃত্যু হল। সিমোন বার্নস নামে এই মহিলা আত্মহত্যা করেছেন বলে ইংল্যান্ডের একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, মুম্বই থেকে লন্ডন যাওয়ার এক বিমানকর্মীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দেন। তার জেরে কারাদণ্ডও হয় তাঁর। কিছু দিন আগেই ছাড়া পেয়েছিলেন। তারপরে ১ জুন ইংল্যান্ডের সাসেক্সে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়ার মুম্বই থেকে লন্ডনগামী বিমানে ওঠেন বছর পঞ্চাশের আইরিশ মহিলা সিমোন বার্নস, গত বছর নভেম্বরের ঘটনা। সাধারণত বিমানযাত্রীদের ইকনমি ক্লাসে ২-৩ পেগ হার্ড ড্রিঙ্ক ও ৩-৪ পেগ ওয়াইন দেওয়া হয়। বিজনেস ক্লাসের যাত্রীদের একটু বেশি দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু ঘটনার দিন সিমোনকে নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে বেশি পানীয় দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও তিনি অতিরিক্ত মদের জন্য বার বার দাবি জানাচ্ছিলেন। সেই দাবি যথারীতি খারিজ করে দেন বিমান কর্মীরা।
অতিরিক্ত মদ না পেয়েই মেজাজ হারান সিমোন। এক বিমানকর্মীর ওপর চিত্কারকরে বর্ণ বিদ্বেষী কথা বলতে শুরু করেন। বলেন, “আমি আন্তর্জাতিক আইনজীবী।তোমাদের মতো লোকেদের জন্য কাজ করি। রোহিঙ্গা, এশিয়ার লোকেদের জন্য কাজ করি, তাও বিনা পয়সায়। আমি আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আইনজীবী। কিন্তু তোমরা আমাকে এক গ্লাস ওয়াইন দিতে পারছো না, এটা কি ঠিক?” কথাগুলির সঙ্গে গালাগালও দেন তিনি। এমনকি ওই বিমান কর্মীর গায়ে থুতু ছিটিয়ে দেন।
আরও পড়ুন : ‘মাদক খাইয়ে গাড়ির মধ্যে আমাকে ধর্ষণ করে, ছবি তুলে রাখে আদিত্য পাঞ্চোলি’
আরও পড়ুন : ‘অশ্লীল’ গান গাওয়ার অভিযোগে এ বার বিপাকে হানি সিংহ
এক যাত্রী মোবাইল ফোনে গোটা ঘটনা তুলে রাখেন। সেটি দেখে আরও চিত্কার করেন। বলতে থাকেন, “আমি মানবাধিকার কর্মী, আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আইনজীবী। তুমি ভাবছো আমি ভয় পেয়ে যাব।”
লন্ডনের হিথরো বিমান বন্দরে অবতরণের পর সিমোনকে গ্রেফতার করা হয়। লন্ডনের আদালতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। কারাদণ্ড ও ৩০০ পাউন্ড জরিমানা হয় । ২০ মে সিমোনছাড়া পান। তারপর ১ জুন সাসেক্সের বাড়ি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সাসেক্স পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই মৃত্যুতে কাউকে সন্দেহ করা হচ্ছে না। এটি আত্মহত্যা বলেই মনে করা হচ্ছে। কেন আত্মহত্যা করেছেন তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।