ধরে গাড়িতে তোলা হচ্ছে গুলিবিদ্ধ স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীকে। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।
আততায়ী হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো। বুধবার সে দেশের রাজধানী ব্রাতিশ্লোভার ১০০ মাইল উত্তর-পূর্বে হ্যান্ডলোভা শহরে ‘হাউস অফ কালচার’ ভবনে তাঁকে নিশানা করে গুলি চালায় এক হামলাকারী। স্লোভাকিয়ার টিভি চ্যানেল ‘টিএ ৩’-এর খবর অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী ফিকোর দেহে চারটি গুলি লেগেছে। একটি গুলি সরাসরি আঘাত হেনেছে তাঁর পাকস্থলীতে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় সকাল ৭টা নাগাদ একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গুলি লাগার পরে পেটে হাত দিয়ে সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন স্লোভাক প্রধানমন্ত্রী ফিকো। তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা ফিকোকে ধরে কালো লিমোজ়িন গাড়িতে তুলে দ্রুত হাসপাতালের দিকে রওনা দিয়েছেন। সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্দিষ্ট এই গাড়িটি বুলেট প্রতিরোধী। পূর্ব ইউরোপের সংবাদমাধ্যম ‘নেক্সটা’ তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে প্রধানমন্ত্রী ফিকোকে উদ্ধার করে গাড়িতে তোলার ভিডিয়োটি পোস্ট করেছে। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
‘নেক্সটা’ নামে সংবাদমাধ্যমটির দাবি, স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীর মাথাতেও গুলি লেগেছে। ইতিমধ্যেই ফিকোর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার কথা শুনে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রধান উরসুলা ভন দের লেয়েন। উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন স্লোভাকিয়ার প্রেসিডেন্ট জ়ুজ়ানা কাপুতোভাও। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ‘সন্দেহভাজন আততায়ী’কে গ্রেফতার করেছে বলে প্রকাশিত সংবাদে দাবি।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দিন পরে ইউরোপে কোনও রাষ্ট্রনেতা এমন প্রাণঘাতী হামলার শিকার হলেন। ১৯৮৬ সালে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ওলফ পালমেকে রাজধানী স্টকহলমের রাস্তায় গুলি করে খুন করা হয়েছিল। ২০২২ সালের জুলাই মাসে জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে একটি জনসভার মঞ্চে গুলি করে খুন করা হয়েছিল।