মলে দাঁড়িয়ে হোমওয়ার্ক সারছে স্কুল পড়ুয়া। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
বাড়িতে ইন্টারনেট কানেকশন নেই। কিন্তু স্কুলের হোমওয়ার্ক করে নিয়ে যেতে হবে। অথচ ইন্টারনেট ছাড়া তা সম্ভব নয়। বিপদে পড়া এমনই এক স্কুল পড়ুয়াকে সাহায্য করল একটি শপিং মলের কর্মীরা।
সম্প্রতি টুইটারে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি বাচ্চা ছেলে শপিং মলে মোবাইল ট্যাব-এর কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কাঁধে ঝুলছে স্কুলের ব্যাগ। ভিডিয়োটি একটু জুম হওয়ার পরে দেখা যাচ্ছ, বাচ্চাটি তার খাতায় কিছু লিখছে। আর পাশেই একটি ট্যাব চলছে। সে ট্যাবটি দেখছে আর খাতায় লিখে যাচ্ছে মন দিয়ে।
ঘটনাটি ব্রাজিলের রেসিফের। শিশুটির নাম গিলেরমো স্যান্টিয়াগো। আব-লিও গোমেস মিউনিসিপ্যালিটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সে। তার স্কুল ও বাড়ি যেখানে, সেই অঞ্চলের মানুষদের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। বাড়ি তো দূরের কথা, স্কুলেও সব সময়ে ইন্টারনেট পরিষেবা মেলে না। ২৭৮ পড়ুয়ার স্কুলে ট্যাবের সংখ্যা মাত্র ১২। তাতেও সব সময় ওয়াইফাই পরিষেবা দেওয়া হয় না। ফলে সবার পক্ষে সবদিন হোমওয়ার্ক করা সম্ভব হয় না।
আরও পড়ুন: শিকার ধরতে বাইক আরোহীর দিকে লাফ চিতাবাঘের, তারপর... দেখুন হাড় হিম করা ভিডিয়ো
স্যান্টিয়াগোর স্কুলের যাতায়াতের পথে একটি শপিং মল পড়ে। স্কুল থেকে ফেরার পথে একদিন মরিয়া হয়েই সে ওই মলে ঢুকে যায়। সেখানে মোবাইলের কাউন্টারের সামনে গিয়ে ট্যাব ঘাঁটতে শুরু করে দেয়। তখন সেখানকার কর্মীরা তাকে জিজ্ঞেস করেন, সে কী ট্যাব কিনতে চায়। কিন্তু স্যান্টিয়াগো বিনা দ্বিধায় বলে, তার কাছে ট্যাব কেনার টাকা নেই। কিন্তু তার হোমওয়ার্ক করার জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা দরকার।
আরও পড়ুন: বিকিনি পরলেই বিনামূল্যে জ্বালানি, গ্যাস স্টেশনের ঘোষণায় কী হল দেখুন
স্যান্টিয়াগোর কথা শুনে ওই কর্মীরা তাকে দোকান থেকে বের করে দেননি। বরং তাকে কাউন্টারে দাঁড়িয়েই ট্যাব ও ইন্টারনেট ব্যবহার করতে বলে। সেখানে দাঁড়িয়েই সে হোমওয়ার্ক সেরে ফেলে।
শপিং মলে আসা কেউ সেই ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে দেন। টুইটারে ভিডিয়োটি ১৩ নভেম্বর আপলোড হয়েছে। এর মধ্যে পোস্টটি এক কোটি ২২ লক্ষের বেশি বার দেখা হয়েছে।
দেখুন সেই ভিডিয়ো: