ইউটিউব থেকে নেওয়া ছবি।
আর কিছুটা দেরি হলেই হয় তো মরণ ঝাঁপ দিয়ে দিত যুবক। কিন্তু রক্ষাকর্তা হয়ে হাজির হন পুলিশ কর্মীরা। বেঁচে গেল আত্মহত্যা করতে যাওয়া যুবকের প্রাণ। জয় পেল পুলিশ কর্মীর ভালবাসা। তবে সে কাজ একেবারে সহজ ছিল না। আমেরিকার নিউ জার্সিতে আটলান্টিক সিটি পুলিশের এক অফিসার কী ভাবে যুবকের প্রাণ বাঁচালেন তা ধরা পড়েছে ক্যামেরায়।
আটলান্টিক সিটি পুলিশের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিয়োটি ১৬ অক্টোবর আপলোড হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, ১৪ অক্টোবর তাদের কাছে একটি ফোন আসে। জানানো হয়, এক ব্যক্তি পার্কিং গ্যারেজের ছাদের কিনারে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। যুবক আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন অনুমান করে রাত ৯টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশের দল। তাঁদের মধ্যে ছিলেন এরিক নাটেল নামে এক অফিসার। তিনি আবার আত্মহত্যায় উদ্যত মানুষের প্রাণ বাঁচানোর ব্যাপারে সিদ্ধহস্ত।
এরিক ছাদে পৌঁছে দেখেন ওই যুবক ফেস টাইম অ্যাপে কারও সঙ্গে কথা বলছেন। আর তাঁর কথা থেকেই বোঝা যায় যে, তিনি আত্মহত্যা করতে চলেছেন। এরিক এবার ওই যুবকের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। নাম কী, কেন আত্মহত্যা করতে চলেছেন সে সব জিজ্ঞেস করতে থাকেন। তাঁকে বোঝাতে থাকেন আত্মহত্যা সব সমস্যার সমাধা নয়। এমন করে প্রায় ১০ মিনিট কাটিয়ে দেন। সেই সঙ্গে এরিক খুব বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ওই যুবকের দিকে।
আরও পড়ুন: গর্ভে ৯ মাসের সন্তান নিয়ে দৌড়, সাড়ে ৫ মিনিটে এক মাইল
আরও পড়ুন: ঝড় আসার আগেই বাড়িতে ঢুকে পড়ল ৩০০টি কুকুর
ভিডিয়োতে এবার দেখা যায় এরিক এক সময় দৌড়ে গিয়ে ওই যুবকের পা ধরে ফেলছেন। ততক্ষণে বাকি পুলিশ কর্মীরাও সেখানে পৌঁছে তাঁকে ধরে ফেলেন। গোল করে ঘিরে রাখেন তাঁকে, যাতে আর কোনও চরম পদক্ষেপ না করতে পারেন ওই যুবক। তাঁকে ধরে ফেলতেই তিনি চিৎকার করে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তখনই এরিক তাঁকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, ‘‘আমি তোমাকে ভালবাসি, সব ঠিক হয়ে যাবে।’’ শেষ পর্যন্ত যুবককে শান্ত করা যায়, উদ্ধার করে তাঁকে মেডিক্যাল কেয়ার সেন্টারে পাঠানো হয়।